আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বজুড়ে আত'ঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে ১১৫টি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাই'রাস। এতে এখন পর্যন্ত মৃ'ত্যু হয়েছে ৪ হাজার ২৮৪ জনের, আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬ জন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লা'ফিয়ে লা'ফিয়ে বাড়ছে এই ভাই'রাসে আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা।
নতুন এই ভাই'রাসের প্রকো'প থেকে বাঁচতে অনেকেই আ'ত'ঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ইতালি, ইরান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ বিশ্বের অনেক দেশের নাগরিকেরা খাদ্য, পানীয়, স্যানিটাইজার, মাস্ক মজুত করছে। সব প্রস্তুতি নিয়ে তারা বাসায় সময় কা'টানো শুরু করেছেন। অনেকে বাসায় বসেই অফিসের কাজকর্ম সারছেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের অফিসের বদলে বাসায় বসে কাজ করার জন্য নির্দে'শনা দিয়েছে।
এই তালিকায় আছে গুগল, ফেসবুক ও নাসার মতো প্রতিষ্ঠানও। আধিকাংশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাই'রাস আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্বের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে হুঁ'শিয়ারি করে দিয়েছেন তারাঁ। তবে আশার কথা হচ্ছে করোনায় মৃ'ত্যুর হার শূন্য দশমিক ৫ থেকে ৫শতাংশ মাত্র। এই হিসেবেও যদি ম'রে তবুও সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে মৃ'ত্যুর সংখ্যা দাঁড়াবে এক কোটি ৫০ লাখ থেকে ২০ কোটি। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মৃ'ত্যু হবে ৫ লাখ থেকে এক কোটি মানুষের।
তবে যখন আমরা জনসংখ্যার উপর মহামা'রীগুলির প্রভা'ব সম্পর্কে চিন্তা করি, তখন কেবল মৃ'ত্যুর দিকে নয়, জন্মের দিকেও নজর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থতা, পৃথকীকরণ, মৃত্যু, গর্ভধা'রণ, গর্ভাব'স্থা এবং জন্মের ক্ষেত্রে একটি বড় প্র'ভাব ফেলতে পারে করোনা ভাইরাস। এই গবেষণা সার সংক্ষেপ হচ্ছে, কীভাবে মহামা'রী জন্মের হা'রকে প্রভা'বিত করে এবং কীভাবে করোনা ভাই'রাস বিশ্বব্যাপী জন্মের হা'রের চলমান সংখ্যাকে হ্রা'স করবে সেটা নির্ণয় করা।
কোভিড-১৯ বা করোনা ভাই'রাস খুব সম্ভবত মানুষের জন্মহার হ্রা'স করতে পারে এবং এটা ব্যা'পক হা'রে করতে পারে। তবে মহামা'রীটি অতিক্রা'ন্ত হওয়ার পরে, চীন ব্যতীত অন্য দেশগুলিতে জন্মহার আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত যদি মৃ'ত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হা'রে কম হয়, সরকার গুলোর পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেমন অসু'স্থতাজনিত ছুটি বাড়ানো বা বেকার বীমা সুবিধা বাড়ানো ইত্যাদি পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নিতে হবে। তবে চীনের প্রকৃতিবিরো'ধী সতন্ত্র জনন নীতির কারণে সেখানে জন্মহা'র বাড়বে এমন প্রত্যাশা করা যায় না।
উচ্চ-মৃ'ত্যুর ঘটনা এবং ভবিষ্যতের জন্মহার কমে যাওয়ার মাঝে একটা সম্পর্ক আছে। পূর্ববর্তী একাডেমিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে যে উচ্চ-মৃ'ত্যুর ঘটনা দুর্ভি'ক্ষ, ভূমিক'ম্প, হিটওয়েভ এবং মহামা'রীর মতো প্রাকৃতিক বিপ'র্যয়ের ৯ মাস পরও সেখানে জন্মহারের উল্লেখযোগ্য হ্রা'স ঘটেছছে। গবেষণায় দেখা গেছে হ্যারিকেন মা'রিয়া, হারিকেন ক্যাটরিনা এবং ২০১৫ সালের লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং গিনিতে ইবোলা ভাই'রাসের প্রাদু'র্ভাবে বিপুল সংখ্যাক মানুষের প্রাণহা'নীর পর সেখানে জন্মের হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রা'স পেয়েছে।
করোনা ভাই'রাসের প্রাদু'র্ভাব কে'টে গেলেও মানবজাতীর ওপর এর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব রেখে যাবে। এই ভাই'রাসের কারণে মানুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষ'মতা মারা'ত্মকভাবে হ্রা'স পেতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশ'ঙ্কা করছেন। বিশেষ করে, ভাইরাসটি যদি সত্যিই বিশ্বজুড়ে মহামা'রী আকারে আকারে দেখা দেয় এবং বিপুল মানুষের প্রাণহা'নী ঘটায় তবে অর্থনৈতিক ও সামজিক ভার'সাম্যে যে বিপ'র্যয় ঘটবে সেটা কা'টিয়ে উঠতে মানবজাতীর দী'র্ঘদিন লেগে যেতে পারে।