আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, একটি পরীক্ষামূলক ওষুধের মাধ্যমে করোনভাইরাসে আক্রা'ন্ত রোগীদের জীবন বাঁ'চানো সম্ভব হয়েছে। মোট ১৫ গুরুতর রোগীর উপরে এই ওষুধ প্র'য়ো'গ করা হয়েছে এবং প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে।
করোনায় আক্রা'ন্ত এক মার্কিন মহিলার উপরে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রতিষে'ধ'ক ওষুধ প্রয়ো'গ করা হয়। ওই মহিলার শরীরে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে করোনার উপস্থিতি ধ'রা পড়ে। তার অবস্থা ছিল গু'রুত'র। এই প্রতিষে'ধকের গবেষণা দলে ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিস মেডিকেল সেন্টারের সং'ক্রা'মক রোগ বিশে'ষজ্ঞ জর্জ থম্পসন। গত শুক্রবার এক বিজ্ঞান ম্যাগাজিনে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি জানান, ‘আমরা ভেবেছিলাম তিনি মা'রা যাবেন, তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত ব্যক্তি।’
ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করার ৩৬ ঘন্টা পরে, ডাক্তাররা তাকে রে'মডে'সি'ভির দিয়ে চিকিৎসা করার সিদ্ধা'ন্ত নিয়েছিলেন। এই ওষুধ ‘আ'ই'ভি’ বা ই'ঞ্জেক'শনের মাধ্যমে স'রাস'রি র'ক্তে প্রবে'শ করানো হয়। এটি শরীরে থাকা ‘আ'রএ'নএ প'লিমে'রাজ’ নামের একটি এ'নজা'ইম বিক'ল করে দেয়। অনেক ভাইরাস নিজেদের অ'নুলি'পি তৈরি করতে এই এ'নজা'ইম ব্যবহার করে।
রোগীর অব'স্থা আ'শঙ্কা'জ'নক হওয়ার কারণে চিকিৎসকরা কোন ক্লি'নিকা'ল ট্রা'য়া'ল ছাড়াই এই প্রতিষে'ধক ব্যবহারের জন্য এফডিএর কাছ থেকে ‘বিশেষ বিবে'চনায়’ ব্যবহারের অ'নুমতি পেতে সক্ষ'ম হন। এটি প্র'য়োগের পরে একদিনের মধ্যেই মহিলাটির শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ ক'মতে থাকে ও তার অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। গো'পনী'য়তার কারণে রো'গীকে হাসপাতাল থেকে ছা'ড়ানো হয়েছে কিনা তা প্রকাশ করেননি ডাক্তার থম্পসন, তবে তিনি জানিয়েছেন যে, রো'গী ভাল আছেন।
একইভাবে, ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজে থাকা ১৪ যাত্রী, যাদের শরীরে করোনভাইরাস ধ'রা পড়েছিল, তাদরে উপরেও এই ‘রে'মডে'সি'ভির’ ও'ষুধ প্রয়ো'গ করা হয়। এ বিষয়ে জাতীয় স্বা'স্থ্য ই'নস্টিটি'উট'সের সহকারী সা'র্জন জেনারেল এবং ফু'সফু'সের বিশেষ'জ্ঞ রিচার্ড চাইল্ডস শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন যে, জাপানের একটি হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে এই ওষুধ দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করা হয়েছিল। তিনি জানান, রোগীদের সবাই খুব গু'রুত'র অসু'স্থ ছিলেন এবং তাদের গড় বয়স ছিল ৭৫ বছর। তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অল্প সময়ের মধ্যেই মা'রা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু, এই ওষুধ প্রয়ো'গের দু’সপ্তাহ পরে দেখা গেল কেউ মা'রা যায় নি এবং তাদের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এটা একেবারে আশ্চর্যজনক ঘটনা বলে তিনি ম'ন্ত'ব্য করেন।
তবে, উভয় ডাক্তারই স্বী'কার করেছেন যে, ‘রে'মডে'সি'ভির’র ক্ষেত্রে আরও পরী'ক্ষা করা দরকার। এ বিষয়ে থম্পসন বলেন, ‘ওষুধটির কারণে নির্দিষ্ট কিছু রো'গীর লিভারে বি'ষক্রি'য়া হতে পারে এবং অন্যান্য সং'স্থাগুলোও আরও কিছু পরীক্ষামূ'লক ওষুধ নিয়ে এ'গিয়ে আসছে যা বেশি কা'র্যক'র হতে পারে।’ অন্যদিকে, ডাক্তার চা'ইল্ড'স ‘রে'মডে'সি'ভির’ সম্পর্কে বলেন, ‘ড্রা'গের কোন ক্ষ'তিক'র প্র'ভাব আছে কী না, তা নির্ধারণ করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।’
যাই হোক, মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস-এর ত'থ্য অনুসারে, ‘রে'মডে'সি'ভির’ সুর'ক্ষা এবং কা'র্যকা'রিতা মূ'ল্যায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারিত কিছু হাসপাতালে ভর্তি করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক রো'গীদের উপরে ‘নি'য়ন্ত্রি'ত ক্লি'নিকা'ল ট্রা'য়া'ল’ শুরু করেছে ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা। সূত্র: ডেইলি মেইল।