আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মানির এক ফুটবল ম্যানেজারের কাছে ১৩ লাখ পাউন্ডে নিজের কু'মারি'ত্ব বিক্রি করেছেন ইসাবেলা নামে ২১ বছর বয়সী এক জার্মান যুবতী। এক্ষে'ত্রে তিনি অনলাইন একটি এ'সক'র্ট এজে'ন্সির সহা'য়তা নেন। ওই ম্যানেজারের সঙ্গে তার যৌ'ন স'ম্প'র্ক সম্পর্কে তিনি বলেছেন ‘ড্রি'ম কাম ট্রু'’। অর্থাৎ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ইসাবেলা কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায়নি। তবে এটা জানা গেছে তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসে অ'ট'ল এমন পিতামাতার সংসারে বড় হয়েছেন। তারা মনে করেন যৌ'ন স'ম্প'র্কের আগে অবশ্যই বিয়ে হতে হবে। অর্থাৎ বিয়ের বাইরে কোনো শা'রী'রিক সম্প'র্ক স্থা'পন করা যাবে না।
কিন্তু ইসাবেলা বিয়ের জন্য মনের মতো পুরুষ খুঁ'জে পাননি। তাই তিনি নিজের মা'নসিক'তা পরিব'র্তন করেন। তিনি দা'বি করেন, কু'মারি'ত্ব অত্য'ধিক মূল্যবান। পিতামাতাকে না জানিয়ে গো'পনে সেই মূল্যবান জিনিস বিক্রি করার সি'দ্ধা'ন্ত নেন তিনি। তাই যার কাছে তিনি কু'মারি'ত্ব বিক্রি করেছেন তিনি তার বন্ধু হয়ে উঠেছেন। এখন তিনি তার সু'গা'র ড্যাডি। প্রথম সা'ক্ষা'তেই তিনি তাকে কিনে দিয়েছেন গুচি ব্রান্ডের হ্যান্ডব্যাগ। এ ছাড়া প্রতি মাসে তাকে তিনি দেবেন ৯০৬১ পাউন্ড। এই পরিমাণটাও নেহায়েত কম নয়। আরও পড়ুন: যে দুই রোগ থাকলে করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
এ নিয়ে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল একটি রিপো'র্ট প্রকা'শ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২১ বছর বয়সী ইসাবেলা একজন ছাত্রী। তিনি একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। সব সময় তিনি স্বপ্ন দেখতেন স্বপ্নকে বাস্তবে রূ'প দেবেন। তার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তার পিতামাতা ধর্মভী'রু থাকায় তারা বিয়ের আগে শা'রীরি'ক সম্পর্কের বিরো'ধী ছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে ইসাবেলা মন পরিব'র্তন করেন। এরপরই তিনি টেলিভিশনে খবর দেখতে পান যে, যুবতীরা ২৭ লাখ থেকে ৩৬ লাখ পাউন্ডে তাদের কু'মারি'ত্ব বিক্রি করেছে। এমনটা দেখে তিনি একটি এ'সক'র্ট এজে'ন্সি'র সঙ্গে চু'ক্তিব'দ্ধ হন। বিজ্ঞাপন যায় অনলাইনে। অফার আসতে থাকে। তার ভিতর থেকে ১০ লাখ পাউন্ড প্র'স্তা'ব করেন বৃটিশ একজন আইনজীবী। অন্যদিকে ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ পাউন্ড প্রস্তাব করেন ডুসেলডর্ফের একজন রিয়েল এস্টেট মুঘল। এমন সা'ড়া পেয়ে তিনি অ'ভিভূ'ত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তার কু'মারি'ত্ব কিনে নেন একজন ফুটবল ম্যানেজার। তবে তার নাম ও বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
ইসাবেলা এ নিয়ে কথা বলেছেন ফিমে'ল-এর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি মনে করি কু'মারি'ত্ব এবং শা'রীরি'ক সম্পর্ক দু’টি বিষয়ই অ'তিমা'ত্রায় মূল্যবান। প্রথমবার শা'রীরি'ক সম্প'র্ক হলো প্রথমবার বাস্কেটবল খেলার মতো। তার ভাষায়, কু'মারি'ত্ব নি'লামে দিয়ে আমি অবশ্যই খুব খুশি। আমার কু'মারি'ত্ব যিনি কিনেছেন তার সঙ্গে আমার আবার সাক্ষা'ত হবে। তিনি আমার সু'গা'র ড্যাডি হবেন এবং প্রতি মাসে ৯০৬১ পাউন্ড করে দেবেন আমায়। এই অর্থ দিয়ে ইসাবেলা কেনাকাটা করবেন এবং নিজে ব্যবসা দাঁ'ড় করবেন। বাকি অর্থে তিনি বিশ্বকে দেখবেন ঘু'রে ঘু'রে।
ইসাবেলা বলেন, তার বয়স যখন ১৪ বছর হয় এবং তার মধ্যে বু'ঝ আসে তখন থেকেই তিনি কু'মা'রি। কারণ, তিনি কখনো কোনো প্রেমিক পাননি। আর তার মা-বাবা এক্ষে'ত্রে ছিলেন বড় বা'ধা হয়ে। কারণ, তারা খুব ধার্মিক। তার ভাষায়, পিতা-মাতা সব সময় আমাকে এবং আমার ভাইবোনদের বলেছেন, প্রথমে তোমাদের বিয়ে করা উচিত। তারপর শা'রীরি'ক সম্প'র্ক। একই ধা'রণা আমিও পো'ষণ করতাম যখন আমার বয়স কম ছিল। কিন্তু আমার বয়স ২০ বছর হওয়ার পর মন পা'ল্টে ফে'লি। তখনও বিয়ে করার জন্য কোনো স্বপ্নপুরুষের সাক্ষা'ত হয়নি আমার সঙ্গে। তবে একেবারে বিনামূল্যে আমি কু'মারি'ত্ব হা'রাতে চাইনি। সি'দ্ধা'ন্ত নিয়েছি বিক্রি করার এবং তার বিনিময়ে অর্থ উপার্জনের।
এরপরই তিনি একটি এ'সক'র্ট এজে'ন্সি'র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই এ'জেন্সি'টি অত্যন্ত ধনী ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে। বিপুল অর্থের বিনিময়ে তারা প্রচুর কু'মা'রির কু'মারি'ত্ব বিক্রি করে দেয়। ইসাবেলা বলেন, আমার পিতামাতা ও পরিবারের সদস্যরা আমার এমন সি'দ্ধা'ন্তের বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে আমার বে'স্ট ফ্রেন্ড এবং কিছু সম'র্থনকা'রী মানুষ জানে। ইসাবেলা বলেন, তিনি কুমা'রি থাকলে আবারও এই একই কাজ করতেন। তার ভাষায় যিনি আমার কু'মারি'ত্ব নিয়েছেন তার প্রতি আকৃ'ষ্ট হতে আমি উ'দ্বি'গ্ন নই। কারণ, তার কাছ থেকে প্রচুর অর্থ পেয়েছি।
এত অর্থ পেয়ে তিনি বি'স্মি'ত কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে ইসাবেলা বলেছেন, না। মোটেও না। আমি জানতাম প্রচুর অর্থ পাব। কারণ, আমি সুন্দরী। আমার শরীর চমৎকার, সুন্দর চুল, মুখ। এ মাসের শুরুর দিকে আমার কু'মারি'ত্ব ক্রয়কারীর সঙ্গে রাতে প্রথম সা'ক্ষা'ত হয়। ওই সময় তিনি একজন চিকিৎ'সককে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। উদ্দেশ্য, আমি কু'মা'রি কিনা তা পরী'ক্ষা করা, যদিও এই পরীক্ষা করেছিল এজে'ন্সি। তবে এর কোনো কিছুতেই না'র্ভা'স হননি ইসাবেলা। ওই কু'মারি'ত্ব ক্রয়কারীকে প্রথম দেখে অনেকটাই খুশি হয়েছিলাম। তিনি ছিলেন প্রকৃতপক্ষেই একজন ভদ্রলোক। তার সঙ্গে অনেক ভাল ভাল গল্প করেছি। তিনি তার জীবন ও কর্মজীবন সম্পর্কে আমাকে অনেক কথা বললেন। তিনি একটি বিখ্যাত ফুটবল টিমের ম্যানেজার। আমার সম্প'র্কেও অনেক কথা বলেছি তাকে। দু’জনে একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হতে অনেকটা সময় নিয়েছি। তারপর আমাদের মধ্যে রো'মা'ন্টি'ক সম্পর্ক স্থা'পি'ত হয়। আমি এটা খুব উ'পভো'গ করেছি। তিনি আমার সঙ্গে শ্র'দ্ধাপূ'র্ণ আ'চ'রণ করেছেন। আমি তার প্রতি আ'কৃ'ষ্ট হয়ে গেছি। তিনি অনেক ধনী। একজন সে'লিব্রে'টি ও বিখ্যাত মানুষ। তার সঙ্গে পু'রো রাত কা'টিয়ে'ছি একস'ঙ্গে।