আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা আ’ত'ঙ্কে গোমূত্র খেয়েছিলেন ভারতের ঝাড়গ্রামের শিবু গরাই। এরপরই গ'লা ও বু'কে ব্য'থা নিয়ে আপাতত ঝাড়গ্রামের শিবু গরাইয়ের জেলা সুপার স্পে'শালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। মেডিসিন ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। অসুস্থ শিবু বলছেন, ‘‘খুব ভুল করেছি। করো'না ঠে'কাতে আমার মতো আর কেউ যেন গোমূত্র পান না করেন।’’
শিবু জানান, তাকে বিক্রেতা জানিয়েছিলেন, এক থেকে দুই ছিপি গোমূত্র নিয়মিত খেলে শরীরের র'ক্ত দোষ কা'টে। করোনা-সহ নানা রকম শারীরিক ব্যা'ধি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। করোনা-ভ'য় কা'টাতে বিশ্বাস করেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ছিপি গোমূত্রের আর'ক খেয়েছিলেন শিবু। তার পরেই শরীরে নানা অস্ব'স্তি শুরু হয়। 'গলা ও বু'ক জ্ব'লতে থাকে। এ অবস্থা শি'বুকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝা'ড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। শারীরিক অব'স্থা দেখে শিবুকে ভর্তি করে নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ঝাড়গ্রাম শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকায় থাকেন শিবু। বাড়িতেই একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে তাঁর। স্ত্রী, দুই ছেলে নিয়ে সংসার। কয়েক দিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুরে বে'ড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময়ে সেখান থেকে ১৮০ টাকা দিয়ে কিনে আনেন গোমূত্রের শিশি। তাতে লেখা ‘গো-আ'রক’। এটা খেয়েই এমন দশা ভু'ক্তভোগী শি'বুর।
আজ বৃহস্পতিবার শিবু বলেন, ‘‘পরিবারে আমি একাই রোজগার করি। তাই আমার ক'রোনা হলে ব্যবসা লা'টে উঠবে, এমন আশ'ঙ্কাতেই গোমূত্রের আরক খেয়েছিলাম। অ'ন্ধবিশ্বাসে ভেবেছিলাম, প্র'তিষে'ধকের কাজ করবে। অসু'স্থ হয়ে বুঝেছি কী ভুল করেছি।’’ হাসপাতাল সূত্রের খবর, শিবুর প্র'য়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে। এখন তাঁর অব'স্থা স্থি'তিশীল।