মোদির দ্বিতীয় স্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে নিয়ে তোলপাড়!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে মোদির স্ত্রী হিসেবে মনে করেন অনেকেই এমন মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা ও আসামের সাবেক কৃষিমন্ত্রী নীলামনি সেন দেকা। ক্ষমতাসীন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব অনতিবিলম্বে কংগ্রেস থেকে নীলামনির বহিষ্কার দাবি করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন। মোদির মতো একজন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না জানিয়ে এ আহ্বান জানান রাম। এছাড়া কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী ও বিজেপির আসাম ইউনিটের প্রধান সরবানন্দ সনোয়াল এ ঘটনায় কংগ্রেসের ওই নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এছাড়া আসাম রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ও পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার সদস্য রূপজ্যোতি কুর্মিও আজ এক জনসভায় মোদি ও স্মৃতিকে ঘিরে ঠিক একই ধরনের মন্তব্য করেছেন।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মাধব এক টু্ইট বার্তায় প্রশ্ন রাখেন, একজন নারীর [সোনিয়া গান্ধীকে ইঙ্গিত করে] নেতৃত্বে পরিচালিত কংগ্রেস কি তাকে সুরক্ষা দিচ্ছে?
নীলমণিসেন ডেকা বলেছিলেন, ‘সেই মহিলা, সেই নেতা যাকে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে অভিহিত করা হয়, সেই স্মৃতি ইরানী নলবাড়ি আসছেন।
একই দিন কংগ্রেসের সংসদীয় রুপজ্যোতি কুর্মিও মোদিকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারতের মহিলা দুর থেকে নমস্কার করে মোদিকে। কিন্তু বিদেশ গেলেই সব বদলে যায়। বিদেশি মহিলাদের আলিঙ্গন করতে ভালবাসেন মোদি।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, “হারের ভয়ে এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে গিয়ে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে কংগ্রেস। এ ধরনের মন্তব্য কংগ্রেসের নিম্ন রুচির পরিচয়। এক জন প্রবীণ বিধায়কের মুখে এমন কথা আসামের সংস্কৃতির পরিপন্থী।”
এদিকে এ মন্তব্যের পরপরই বিজেপি কর্মীরা রবিবার রাতেই রাজ্য কংগ্রেসের সদর দফতর, গুয়াহাটির রাজীব ভবন ঘেরাও করেন। বিভিন্ন জায়গায় নীলমণি ও কংগ্রেসের কুশপুতুল পোড়ানো শুরু হয়। বিপদ বুঝে নীলমণি ও কুর্মির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে কংগ্রেস।
দলীয় মুখপাত্র রিপুন বরা বলেন, “ওই মন্তব্যগুলি ওঁদের ব্যক্তিগত মত। দল এই ধরনের মন্তব্য ও মনোভাবকে সমর্থন করে না। ওই দু’জনের মন্তব্যের দায় দল নেবে না।”
বিজেপির দাবি, অবিলম্বে ডেকা ও কুর্মিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক। বিপাকে পড়ে নীলমণি বলেন, “আমি যা বলেছি নিছকই মজা করে বলেছি। ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইছি। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই।” সূত্র: জি নিউজ, দৈনিক যুগশঙ্খ, অসমীয় প্রতিদিন।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�