আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সারাবিশ্বে মহামা'রি করোনাভাইরাসে মৃ'তের সংখ্যা হুঁ হুঁ করে বেড়ে চলেছে। এ পর্যন্ত মৃ'ত্যু হয়েছে ২৭,২৫১ জনের। আর আ'ক্রা'ন্ত বেড়ে হয়েছে ৫,৯৪,৩৪৪ জনে। এদিকে করোনা ছ'ড়িয়ে পড়ে ব্যাপক মৃ'ত্যুর ফলে সৎকারকর্মীরা চাপ নিতে হিমশিম খেলে গণকবর দেওয়া হতে পারে স্কটল্যান্ডে। সে ধরণের প্রস্তুতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
হুদ্দারসফিল্ড ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে এক শতাংশ মানুষ মা'রা গেলেই সৎকারকর্মীরা আর চাপ সামলাতে পারবেন না।
তারা আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মৃ'তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে সৎকারকর্মীদের সংখ্যাও হ্রাস পাবে, অনেকেই অসুস্থ হতে পারে, কেউ আবার ছুটিতে থাকবে; সবমিলিয়ে বিশ্রি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। মানুষের ডেথ সার্টিফিকেট দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিপাকে পড়তে পারে বলে শ'ঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
তারা বলছেন, সৎকারের স্থানের অভাবে গণকবর দেওয়া হতে পারে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একইসঙ্গে দুঃখ এবং ক্ষো'ভ কাজ করতে পারে।
বার্মিংহাম এয়ারপোর্ট এলাকায় এরই মধ্যে ১২ হাজার মানুষকে গণকবর দেওয়ার মতো প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সেখানে সাময়িকভাবে করোনা মো'কাবেলায় হাসপাতাল স্থাপন করা হতে পারে। আর মৃতদের গণকবর দেওয়া হতে পারে সেখানেই।
জানা গেছে, সাধারণত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রতি সপ্তাহে ১২০ জনের ম'রদেহ সৎকার করে। এছাড়া দিনে সর্বোচ্চ ৬০ জন মা'রা যাওয়ার সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে মৃ'তের সংখ্যা যদি আ'ক্রা'ন্তের হিসেবে এক শতাংশ হয়ে যায়, তাহলে ম'রদেহ সৎকার নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হবে।
গবেষকরা বলছেন, ম'রদে'হ তালিকাভুক্ত এবং সার্টিফিকেট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত দেহগুলো সৎকার সম্ভব হবে না। এতে করে মর্গে লা'শের স্তুপ পড়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে মৃ'তদের পরিবার থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ, পেনশন, ইন্সুরেন্স বুঝে পেতে আরো বিলম্ব হতে পারে। এসব কারণে বিলম্বের জেরে সৎকার করতে গিয়ে ম'রদেহগুলো গণকবর দেওয়া হতে পারে বলেও জানান তারা।