বুধবার, ০১ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০২:১০

'মুসলমানদের কল'ঙ্কিত করতে তাবলিগকে অজুহাত বানানো হচ্ছে'

'মুসলমানদের কল'ঙ্কিত করতে তাবলিগকে অজুহাত বানানো হচ্ছে'

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মারকাজ নিজামুদ্দিন মসজিদে তাবলিগ জামাতের সমাবেশে অংশ নেয়া বড় একটা সংখ্যক লোক করোনা ভাইরাসে আক্রা'ন্ত বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে সেটিকে মুসলমানদের বি'রু'দ্ধে ষ'ড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, এ ঘটনাকে মুসলমানদের বি'রু'দ্ধে কুৎ'সা রটানোর সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন কেউ কেউ।

যারা 'তাবলিগ ভাইরাস' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করছেন, তাদের ''আরও বিপ'জ্জ'নক' আখ্যায়িত করে তিনি বলেন— প্রাকৃতিকভাবে আসা ভাইরাস একটা সময় শেষ হয়ে যায়, কিন্তু এ ধরনের বিদ্বে'ষ একটি ছাপ ফেলে রেখে যায় সমাজে। কয়েক দফা টুইট পোস্টে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, সর্বত্র মুসলমানদের কল'ঙ্কিত করতে কারও কারও জন্য এখন তাবলিগ জামাত সহজ অজুহাত হিসেবে সামনে চলে এসেছে। মনে হচ্ছে, আমরাই কোভিড-১৯ সৃষ্টি করে বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে দিয়েছি।

পাশাপাশি তাবলিগ জামাতের সমাবেশের বিষয়ে তিনি লেখেন, প্রথম দর্শনে যদিও এটাই মনে হচ্ছে যে, এ ঘটনা তাবলিগ জামাতের দায়ি'ত্বজ্ঞানহী'ন পদক্ষেপেরই ফল। তবে এটিও ঠিক যে, এই ধরনের সমাবেশ তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে ভারতের বেশিরভাগ মুসলমানই কিন্তু সরকারি নির্দে'শিকাগুলো মানছেন এবং অন্যদের সেই নির্দে'শ মেনে চলারই পরা'মর্শ দিচ্ছেন। এদিকে ভারতের তাবলিগ জামাতের নেতা মাওলানা সাদের বি'রু'দ্ধে মঙ্গলবার মহামা'রী আইনে মামলা হয়েছে। 

দিল্লির মারকাজ নিজামুদ্দিন মসজিদে ধর্মীয় সমাবেশ থেকে ব্যা'পকহারে করোনা ভাইরাস সং'ক্র'মণ ছড়িয়ে পড়ায় এ মামলা হয়েছে। এতে মসজিদ কর্তৃপক্ষকেও আসা'মি করা হয়েছে। পুলিশের পিআরও মান্দিপ সিং রান্দাওয়ি বলেন, অ'পরা'ধ শাখা থেকে এ ঘটনার তদ'ন্ত করা হবে। দেশটির ১৮৯৭ সালের এপিডেমিক ডিজিস অ্যাক্ট ও ভারতীয় দ'ণ্ডবিধির অন্য ধারা অনুযায়ী তাদের বি'রু'দ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। 

নিজামুদ্দিন মসজিদে তাবলিগ জামাতে যোগ দেয়া তেলেঙ্গানার ছয়জন ও শ্রীনগরের একজন নিয়ে মোট সাতজন করোনা ভাইরাস আ'ক্রা'ন্ত হয়ে মা'রা গেছেন। তা ছাড়া ওই জমায়েতে অংশ নেয়া তামিলনাড়ুর আরও অন্তত ৫০ জনের করোনা ভাইরাস পজিটিভ এসেছে। দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় ২০০০ লোকের জমায়েত হয়েছিল। 

তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়া তিন শতাধিক মানুষকে সোমবার হাসপাতালে নেয়া হয়। মঙ্গলবার মসজিদটি সিল করে দেয়া হয়েছে। আর সেখান থেকে ৭০০-এর বেশি মানুষকে বের করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টিন রাখা হয়েছে। যেসব রাজ্যের মানুষ ওই জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের খোঁ'জ করা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন থেকে। সূত্র : এনডিটিভি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে