বৃহস্পতিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:৫৯:৫৩

বধূ সাজা হবে না, করোনায় মরবেন; পরিবার থেকে বিদায় নিলেন তরুণী চিকিৎসক!

বধূ সাজা হবে না, করোনায় মরবেন; পরিবার থেকে বিদায় নিলেন তরুণী চিকিৎসক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার মৃ'ত্যুপুরী হয়ে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হাসপাতালের বেড খালি নেই। এক ভেন্টিলেটরে শ্বা'স নিচ্ছে দুটি প্রাণ। ডাক্তার, নার্সরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে চলেছেন সবাইকে বাঁচাতে। অনেককেই আবার বাঁচাতে না পেরে ভে'ঙে পড়ছেন তারা। সব মিলিয়ে বিভী'ষিকাময় পরি'স্থিতি সেখানে। প্রতিক্ষণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রা'ন্তের সংখ্যা। 

চোখের পলকে মৃ'তের সংখ্যাটা পরিবর্তিত হচ্ছে। চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রা'ন্ত হচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা। একজন তরুণী মার্কিন ডাক্তার তো পরিবাররের কাছ থেকে চূড়ান্ত বিদায় নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গেছেন। তিনি শেষ বার্তায় বলেছেন, হয়তো ব্রিটিশ বাগদত্তাকে বিয়ে করার আগে তার জীবন করোনায় শেষ করে দেবে।

৩০ বছর বয়সী মেডিসিনের ডাক্তার ডিনা এলকাফ্রাভি, নিউইয়র্ক সিটিতে তার বাড়ি। সেখানকার ক্র'মব'র্ধমান প্রাদু'র্ভাব দেখে এতটাই আত'ঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন যে তিনি মা'রা যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ডিনা ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেট্রোকে বলেছিলেন যে, এই অক্টোবরেই যুক্তরাজ্যে ৩৫ বছর বয়সী ব্রিট রিচার্ড বেইলিকে বিয়ে করবেন তিনি। তবে তিনি উ'দ্বিগ্ন যে এতদিন তিনি বেঁচে থাকতে পারবেন কি-না। তার আশ'ঙ্কা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে তার মৃত্যু ঘটবে। 

এজন্য তিনি প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বব্যাপী কোভিড -১৯ মহামা'রির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃ'তের সংখ্যা ২ হাজার ২১৯। আক্রা'ন্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৯০১। এমন ভ'য়াব'হ পরি'স্থিতি বিশ্বের আর কোন একক শহরে হয়নি। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডীনা নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের লিংকন মেডিকেল সেন্টারে মাতৃত্বকালীন যত্নে সিনিয়র রেজিস্ট্রার হিসাবে কাজ করেন।

নিউইয়র্কে করোনার ক্র'মব'র্ধমান প্রাদু'র্ভাবে তাকে হাসপাতালের কোভিড -১৯ ওয়ার্ডে টানা ১২ ঘণ্টা কাজ করতেএ হচ্ছে। চোখের সামনে শত শত মানুষের মৃত্যু দেখে ডিনার উপলব্ধি যে, চিকিৎসকরা এই র'ক্তহীন যু'দ্ধে হে'রে যাচ্ছেন। ''আমি ভীত হয়ে পড়েছি, আমার আশ'ঙ্কা কাজ করতে গিয়ে এটা আমাকে মে'রে ফেলতে পারে। আমি কেবল প্রার্থনা করতে পারি, কিন্তু অদৃশ্য এই শক্তির বি'রু'দ্ধে লড়া'ই করতে পারি না। আমি আমার পরিবারকে জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছি এবং আমি জানি না যে আমি আর কখনও আমার পরিবারের সদস্যদের দেখতে পাবো কি-না।''

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে