মোদির দেয়া পাগড়ি পরে নাতনির বিয়েতে শরিফ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পড়শির 'হঠাৎ' উষ্ণতার মান রাখলেন নওয়াজ শরিফ৷ নাতনির বিয়ের প্রস্তিতিতে ব্যস্ত বাড়িতে হঠাৎ এসে তাকে রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী গোলাপি পাগড়ি উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই নাতনি মেহরুন্নিসার বিয়ের দিন কন্যা পক্ষ পাক প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেল সেই গোলাপি পাগড়ি মাথাতেই৷ পারিবারিক উত্সবের আবহে আরও গাঢ় হল ভারত-পাকিস্তান মৈত্রীর সাম্প্রতিক মধুর রস৷ শুক্রবার কাবুল থেকে ফেরার পথে আচমকাই পাকিস্তানে নেমে পড়ে একেবারে পাক প্রধানমন্ত্রীর নাতনির বিয়ের আসরে পৌঁছে গিয়ে বেনজির সৌহার্দ দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
কাবুল থেকে ফেরার পথে আচমকা লাহোর বিমানবন্দরে নেমে পড়া, নওয়াজ তাকে স্বাগত জানাতে আসা, ব্যক্তিগত জেটে করে লাহোর থেকে কিছু দূরে জতি উমরা এলাকায় দেশের বাড়িতে মোদিকে নিয়ে যাওয়া - বস্তুত এতটা ব্যক্তিগত স্তরে কূটনীতির আলোচনাকে টেনে নিয়ে যাওয়া - এ সবই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারত সম্পর্কে সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিল৷ মোদির শপথগ্রহণের সময় যে শাল-শাড়ির উপহার-কূটনীতি শুরু হয়েছিল, সেই তার মোদির আচমকা সফরে ফের জোড়া লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ নাতনির বিয়েতে মোদির দেওয়া পাগড়ি পরে নিজের পক্ষ থেকেও এক পা বাড়ালেন নওয়াজ৷ পাক প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের এক সূত্র এ দিন বলেন, 'শরিফ-মোদির উপহার দেওয়া পাগড়ি পরাটাই দেখিয়ে দেয়, প্রতিবেশী দেশের প্রতি তার মানসিকতা কতটা আন্তরিক৷ তাছাড়া, তিনি যে মোদির উপহারকে কতটা মূল্য দেন, এই আচরণ সেটারও নিদর্শন৷'
নওয়াজের কন্যা মরিয়মের মেয়ে হলেন মেহরুন্নিসা৷ তার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে নামজাদা ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চৌধুরি মুনিরের পুত্র রাহিলের৷ উল্লেখ্য, মোদির সফরের দিন এই মুনিরকেই দেখা যায় সর্বপ্রথম এগিয়ে গিয়ে মোদির সঙ্গে করমর্দন করতে৷ ভারত-পাক সম্পর্কের উষ্ণতাকে স্বাগত জানিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত সংগঠনের নরমপন্থী শাখা৷ দুই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত সদর্থক ভাবেই দেখছে তারা, এবং আপিল জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় যেন কাশ্মীরের মানুষকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ প্রসঙ্গত, হুরিয়তের মতো সগঠনগুলিকে পাকিস্তান কাশ্মীরের কণ্ঠ বলে মানলেও ভারত তা স্বীকার করে না৷ চলতি বছরের অগস্টে পক হাইকমিশনার হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে দেখা করার ইস্যুতেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা-স্তরের বৈঠক প্রত্যাহার করে নেয় ভারত৷
২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�