সুইজারল্যান্ডের একাল সেকাল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এটা ঠিক, সুইজারল্যান্ডে মানুষজন মোটেই টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলেন না। ধরেই নেওয়া হয়, টাকাপয়সায় তাদের কোন সমস্যা নেই। সে সব বড় কথা নয়। যেটা তাদের প্রধান আলোচ্য বিষয়, সেটা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। সুইজারল্যান্ডে সবই ঠিকঠাক মতো চলে। ট্রেন সময়ে আসে, ব্যাংক তার গ্রাহকের টাকাকড়ি নিয়ে সদাপ্রস্তুত থাকে। আর যদি সংসদের কথা বলেন, তবে তাতেও তাদের কোন সমস্যা নেই। তাদের কেউ যদি জিজ্ঞাস করেন— কেমন চলছে, তারা খোলাখুলিই জানান যে, অভিযোগের কোনও জায়গাই নেই (মানে এটাই, সবই ঠিকঠাক মতো চলছে)। কিন্তু এই ‘দুরস্ত’ ভাবখানা কেমন যেন চুপসে যায় মাঝে মাঝে। কিছুদিন আগে বেশ বিস্ময়ের সঙ্গেই বিষয়টি লক্ষ কারা গেল, সবকিছু যেমনটি চলার কথা, তেমনটি ঠিক যেন আর চলছে না। হঠাৎ শোনা গেল, জাতীয় বিমান পরিবহণ সংস্থা সুইসএয়ার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে অথবা নামজাদা ব্যাংকগুলো সবকিছুতই যেন সমস্যা দেখা গেল। এ কি সেই সুইজারল্যান্ডে।
স্টেশনে দাঁড়িয়ে ট্রেন, কেউ যদি একবার কোনও রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের কথাবার্তা শোনেন, তার মনে হতে পারে, ট্রেনের লেট করা কেবল মাত্র খুচরো বিরক্তিই উৎপাদন করছে না। এর জন্য যেন দেশের প্রাণভোমরাটাই খাঁচাছাড়া হতে চলেছে। মনে হবে, এর জন্যই সম্ভবত দেশে সাইকিয়াট্রিস্ট আর সাইকোথেরাপিস্টদের এত রমরমা অবস্থা। বেশির ভাগ নিত্য দিনের যাত্রীদের দেখলেই আপনার মনে হবে, তারা ক্লান্ত, বিপর্যস্ত। সর্বদাই ঘড়ি দেখছেন, অফিসে লেট হওয়ার টেনশনে ভুগছেন, মেজাজের পারদ চড়ছে। কারণ এই ট্রেনের লেট হওয়া মোটেই ‘সুইস’-চরিত্রের সঙ্গে খাপ খায় না। এ এক অক্ষম্য অপরাধ। আর যদি কোনও কারণে কোনও বড় রকমের পরিবহণ-বিপর্যয় ঘটে গেল।
২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�