সোমবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:১৬:০০

পাঞ্জাবের মাদ্রাসায় আ'টকে মুসলিম শিক্ষার্থীরা, খাবার নিয়ে এগিয়ে এলেন শিখরা

পাঞ্জাবের মাদ্রাসায় আ'টকে মুসলিম শিক্ষার্থীরা, খাবার নিয়ে এগিয়ে এলেন শিখরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে লকডাউনের জেরে ভিন রাজ্যে আ'টকে বহু মানুষ। এই লকডাউনে সম'স্যায় পড়েছেন পাঞ্জাবের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও। তবে তাদের উদ্ধারে 'ফরিস্তা' হয়ে এগিয়ে এসেছে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও গুরুদ্বারগুলি। লকডাউনের ফলে মাদ্রাসায় আ'টকে বহু শিক্ষার্থী।

প্রথমের দিকে মাদ্রাসার তরফ থেকে খাবারের জোগান দিলেও পরে অনাহারেই থাকতে হচ্ছিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের। সেই কথা শুনে এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়ায় গুরুদ্বার-সহ পাঞ্জাবের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে শুধু লকডাউনই নয় পাঞ্জাবের এই গুরুদ্বারগুলি বি'পদের সময়ে কারোর মধ্যেই ভে'দাভে'দ রাখে না। তারা হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলে। এবারেও তাই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য তারা খুলে দেয় লঙ্গর। সেখানেই চলছে সেবার কাজ। 

দলে দলে নানা ধর্মের মানুষ এসে পান দুবেলা দুমুঠো অন্ন। পাঞ্জাবের মালেরকোঠার হাদানারা সাহিব গুরুদ্বার এভাবেই মাদ্রাসা পড়ুয়াদের সাহায্য করছে। তাই তাদের কাজকে সালাম জানান এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরাও। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার যে শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় পড়ে লকডাউন শুনে তারা বাড়ি ফিরতে পারলেও মাদ্রাসায় এখনও আ'টকে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের সকলের দায়িত্ব হাসি মুখে কাঁধে তুলে নিয়েছেন গুরুদ্বারের প্রধান গ্রন্থী ও তার নরিন্দর পাল সিং। 

তারা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দুবেলা খেতে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। মাদ্রাসার মৌলভী সাহেব জানিয়েছেন, তার বাচ্চাদের কথা ভেবেছে বলে গুরুদ্বারের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, ''হঠাৎ সব লকডাউন হয়ে গেল। ট্রেন বা'তিল হয়ে গেল একের পর এক। আমরা কোনও ব্যবস্থা করারই সময় পাইনি। বাইরের বাচ্চাদের ঘরেও পাঠানো হয়নি। কিন্তু গুরুদ্বার সেই সময় পাশে থেকেছে, দায়িত্ব নিয়েছে। ওঁরা সবসময়ই সেবায় বিশ্বাস করেন।''

গুরুদ্বারের দায়িত্বে থাকা কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, প্রতিদিনই দুই বেলা মিলিয়ে হাজার দেড়েক মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করছেন তারা। স্থানীয় মহিলারাও এসে রান্নায় হাত লাগাচ্ছেন। সেখানে কয়েকটি বাচ্চার দায়িত্ব এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। তবে মাদ্রাসার বাচ্চারা গুরুদ্বারের নিয়ম মেনে খেতে অভ্যস্ত ছিল না এতদিন। এখন তারাও সেই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে