আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামা'রীতে চ'রম বিপ'র্যয়ক'র পরিস্থি'তিতে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শ'ক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় আক্রা'ন্তের তালিকায় শীর্ষদেশ হিসেবে রয়েছে দেশটি।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের ত'থ্যানু'যায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩৫৫জন আক্রা'ন্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৯ হাজার ৬৮৭ জন মৃ'ত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মা'রা গেছেন ৭১ জন মার্কিন নাগরিক। ইতিমধ্যে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
চীনের আসা সাড়ে চার লাখ পর্যটকের ভ্রমণই যুক্তরাষ্ট্রের স'র্বনা'শ ডেকে এনেছে। চীনা নববর্ষের প্রাক্কালে করোনার রহ'স্যময় নিউমো'নিয়ার মতো রো'গ (তখনও অজা'না) ছ'ড়িয়ে পড়ার পর এশিয়ার দেশটি থেকে এই বিপুল সংখ্যক পর্যটক সরাসরি ফ্লাইটে আমেরিকায় এসে পৌছায়। এর মধ্যে করোনার উপকে'ন্দ্র খ্যাত হুবেই প্রদেশের উহান শহরের কয়েক হাজার মানুষ রয়েছে।
এমনকি মার্কিন মুলুকে মহামা'রী ছ'ড়িয়ে পড়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও অন্যান্য দেশের আরও অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক ঢু'কে পড়ে। তারা লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, নিউইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটল, নেওয়ার্ক ও ডেট্রয়েটের মতো ব্যস্ত বিমানগুলোতে নেমেছে আর সাধারণ মার্কিনিদের সঙ্গে মিশে গেছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত বিদেশীদের এই স্রোত অব্যাহ'ত ছিল। এদের মাধ্যমেই আমেরিকাজু'ড়ে ছ'ড়িয়ে পড়েছে করোনার বীজ।চীন-যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের ফ্লাইট ডাটা বিশ্লে'ষণ করে এসব ত'থ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
রয়টার্স জানিয়েছে, শুধু চীন থেকেই নয় চীনের থেকে আরও বেশি করোনাপী'ড়িত ইতালি ও স্পেন ছাড়াও আরও কয়েকবটি দেশের লাখ লাখ পর্যটক এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে।আন্তর্জাতিক ট্রাভেল ডাটা অ'নুসারে, করোনার দা'পটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে ৩০ লাখ ভ্রমণকারী। করোনার ক্রা'ন্তিকাল ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি-এই তিন মাসে কিভাবে এই বিশাল সংখ্যক পর্যটক প্রবেশ করলেও তাদের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষাই করা হয়। মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কল্পনাই করতে পারেননি যে, গো'পনে করোনা বহনকারী বিদেশ থেকে আসা এসব নাগরিকই তাদের স'র্বনা'শের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
ওয়াশিংটনের অভি'যোগ, প্রথম থেকেই করোনার ত'থ্য গোপন করেছে বেইজিং। আর ডিসেম্বর নয়, তার আগেই দেশটিতে ছ'ড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। এভাবে তাদের মাধ্যমেই গো'টা বিশ্বে ছ'ড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনার রো'গী শনা'ক্ত হয় ২০ জানুয়ারি। এর দুই সপ্তাহ পর ২ ফেব্র“য়ারি কয়েকটি শহরে লকডাউন ঘো'ষণা করা হয়। কিন্তু এরপরও বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়নি।
ট্রাভেল ডাটার ত'থ্য মতে, লকডাউন ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি শহরে অন্তত ১ হাজার ৩০০ ফ্লাইট পৌছায়। আর ২ তারিখের লকডাউরের পরও বেইজিং থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো ও নিউইয়র্কে আরও ২৭৯টি ফ্লাইট আসে। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, এরপরও বিমানবন্দরে ওইসব যাত্রীদের যথাযথভাবে স্ক্রি'নিং বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশ থেকে আসা এসব ব্যক্তিদের আসলে কতজন করোনায় আক্রা'ন্ত ছিলেন তা নিণ'র্য় করা মু'শকিল। তবে এটা সত্য যে, তাদের কিছু অংশের কোনো উপস'র্গই ছিল না। এসব নাগরিকদের সবচেয়ে বেশি গেছেন নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস ও সিয়াটলের বড় বড় শহর।
তবে আশ'ঙ্কার কথা হলো, তারা সংখ্যায় এত বেশি যে, ধা'রণা করা হচ্ছে তারা অন্যান্য শহরগুলোতেও ছ'ড়িয়ে পড়েছেন। করোনা রু'খতে এখনও পু'রো যুক্তরাষ্ট্র লকডাউন করা হয়নি। মাত্র ৩২টি রাজ্যে লকডাউন চলছে।