সোমবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৫৯:৪৫

ইটালিফেরত একজনের থেকে এখন ১৬ হাজার করোনা আক্রা'ন্ত যে দেশে

ইটালিফেরত একজনের থেকে এখন ১৬ হাজার করোনা আক্রা'ন্ত যে দেশে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘা'তী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী লা'ফিয়ে লা'ফিয়ে বা'ড়ছে আক্রা'ন্ত ও মৃ'তের সংখ্যা। চীনের উহান থেকে ছ'ড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের তা'ণ্ডবে সারা বিশ্ব এখন লকডাউন। অথচ শুরুর দিকে অনেক দেশই এটাকে শুধু চীনের জাতীয় সমস্যা ভেবে গুরুত্ব দেয়নি। সেই দেশের মধ্যে নেদারল্যান্ডস অন্যতম। সেই দেশে ইটালিফেরত একজনের থেকে এখন ১৬ হাজার আক্রা'ন্ত হয়েছেন। 

এ বিষয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি কলাম লিখেছেন তনিমা চট্টোপাধ্যায়, ডেলফ্‌ট, দ্য নেদারল্যান্ডস। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধ'রা হলো : 

'করোনা আত'ঙ্কে কাঁ'পছে সারা বিশ্ব। কিছুদিন আগে যখন সুদূর চীন থেকে করোনার খবর প্রথম আসে, তখনও আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিইনি। আমরা ভেবেছিলাম, ওটা ও দেশের জাতীয় সমস্যা হয়েই সীমাবদ্ধ থাকবে। এর প্র'ভাব যে সারা বিশ্বে এভাবে পড়তে পারে, তা তখনও মনে হয়নি। ইউরোপ তথা নেদারল্যান্ডসের জীবনযাত্রাও চলছিল স্বাভাবিক ছ'ন্দেই।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে যখন এ দেশে প্রথম করোনা সং'ক্রমণের খবর পাওয়া গেল, তখন থেকেই ছবিটা বদলাতে শুরু করে দিল। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে মাসের শেষ পর্যন্ত এ দেশে স্কুল ছুটি থাকে। সেই সময়ে অধিকাংশ ডাচ পরিবারই বেড়াতে যায়। এই সময়ের আকর্ষণ শীতকালীন খেলাধুলো। বিশেষ করে স্কি করতে যাওয়া। 

স্কি করতে অনেকেই এবার ইটালিতে গিয়েছিলেন। ততদিনে ওই দেশে করোনা ছ'ড়িয়ে পড়েছে ব্যা'পক হা'রে। ইটালিফেরত একজনের থেকেই সং'ক্রমণ শুরু হয় এ দেশে। প্রথম দিকে ধী'রে। পরে দ্রু'ত হা'রে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখন আক্রা'ন্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজারের কাছাকাছি। মৃ'তের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। এ দেশে সবাই মোটামুটি বাড়ি থেকেই কাজ করছে। তিন সপ্তাহ হলো স্কুলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি নির্দেশে এই পরিস্থি'তি চলবে আপাতত ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। তাই প্রয়োজনে কেউ কেউ বাইরে বেরোচ্ছেন। তবে সে ক্ষেত্রেও দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনে চলতে হবে। অন্যথায় ৪০০ ইউরো জরিমানা।

প্রথমদিকে সুপার মার্কেটে জিনিসপত্রের হা'হা'কার হয়েছিল খুব। এখন আবার সব স্বাভাবিক। রাস্তায় লোকজন প্রায় দেখাই যাচ্ছে না। হাইওয়েতে গাড়ির সংখ্যা কম, ট্রামে বাসেও যাত্রীর সংখ্যা তথৈবচ। ইউরোপের অন্য দেশের সঙ্গে সীমা'ন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইটালি, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি— সব প্রতিবেশী দেশই সঙ্কটে। এ দেশের বিখ্যাত কেউকেনহফ-এর টিউলিপ গার্ডেন এ বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এর ফলে দেশের পর্যটন শিল্প ভী'ষণভাবে ক্ষ'তিগ্র'স্ত হবে, তা বলাই বাহুল্য। আগামী দিনে কী হতে চলেছে, তা এখনও আমাদের অজানা। আমরা এরই মধ্যে ভাল থাকার চেষ্টা করছি। সোশ্যাল মিডিয়া বা ফোন মারফত এখানকার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি, যাতে আমরা একা বোধ না করি। কলকাতায় আপনজনদের জন্য দুশ্চি'ন্তাও পিছু ছা'ড়ছে না। তবে আত'ঙ্ক নয়, সঠিক সচেতনতার মাধ্যমেই আমরা এ যু'দ্ধে জয়ী হব, সে বিশ্বাস রাখি।' সূত্র : আনন্দবাজার

 

 

 

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে