আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিল্লিতে তবলিগি জমায়েতে অংশ নেওয়া কেউ, জেহাদি বা মূর্খদের পিছনে খরচ করা যাবে না তাদের পাঠানো করোনা–ত্রাণ। গত সাত তারিখ আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা আসামের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল বা এফটির পাঠানো চিঠিতে এই উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত সরকারের ১৯৪৬ সালে বিদেশি নীতি অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি অ'বৈ'ধ বিদেশি কিনা তা নির্দিষ্ট করে আইনের এই শাখা।
এফটির ১২ জন সদস্যের তরফে ৬০০০০ টাকা করোনা–ত্রাণে দান করার কথা লেখা ছিল। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন আসামের বক্সা জেলার এফটি সদস্য কমলেশ কুমার গুপ্তা। কিন্তু ওই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন নোটারি আইনজীবী কমলেশ সাফ বলে দেন, ওই চিঠিটা সরকারের কাছে পাঠানো হয়নি এবং চিঠিতে কী ছিল তা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না।
প্রসঙ্গত, গত ৭ তারিখে লেখা হলেও ওই চিঠিটা শনিবার আসামের একটা স্থানীয় দৈনিকে ফাঁ'স হওয়ার পরই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাই'রাল হয়। আর অবধারিতভাবে শুরু হয়ে যায় বিত'র্ক। এব্যাপারে চিঠিতে উল্লিখিত ১২ জন সদস্যের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন এফটির সদস্যরা তাদের একদিনের বেতন করোনা–ত্রাণে দিতে রাজি হওয়ার পরই ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
কিন্তু তার দাবি, চিঠির বিষয় তাদের কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি কমলেশ, তাই সেখানে কী লেখা হয়েছিল তারা কেউই জানেন না। সেটা সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পরই তারা সবাই চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে জেনেছেন। আরেক সদস্য বললেন, কয়েকজন সদস্য আ'প'ত্তি তোলায় আলোচনার পর ওই চিঠিটা তুলে নেওয়া হয়। সূত্র : আজকাল