আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গোটা বিশ্ব যখন কাঁ'পছে করোনা আত'ঙ্কে তখন হাতে গোনা কয়েকটি দেশে নাম মাত্র কয়েকজনকে করোনা শনা'ক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ভিয়েতনাম একটি। যেখানে এখন পর্যন্ত কভিড ১৯ এ কারো মৃ'ত্যু হয়নি। করোনা শনা'ক্তের সংখ্যা ২৬০।
মেডিক্যাল টেস্ট, কোয়ারিন্টেনে রাখা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মত বিষয়টি ক'ঠোরভাবে মে'নে চলায় করোনা নিয়'ন্ত্রণে এসেছে ভিয়েতনামে। দেশটির দা'বি এ সব কিছুর সম্ভব হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে। পরিসংখ্যানে পাওয়া ত'থ্য অনুযায়ী প্রথমে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। করোনা স'ন্দেহে ১ লাখ ২১ হাজার মানুষের টেস্ট করানো হয়। যার মধ্যে ২৬০ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রা'ন্ত হয়ে প্রাণহা'নির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান করোনা পরিস্থি'তি মো'কাবেলা করতে সক্ষ'ম হওয়ায় বিশ্ব গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভিয়েতনাম প্রতিনিধি কিডং পার্ক বলছেন দেশটির শুরুর দিকের অবস্থা জ'টিল ছিলো। দেশটি খুব দ্রুত এবং সত'র্কতার সাথে পদক্ষে'প নিয়েছে। জানুয়ারী শুরুর দিকে করোনা মো'কাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ভিয়েতনামে। দেশটিতে সেই সাথে উপ প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে কভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়'ন্ত্র'ণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে আক্রা'ন্তের সংখ্যা কম হওয়ার পরেও চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে লকডাউন করা হয় ভিয়েতনাম। মহামা'রীর ঝুঁ'কি এ'ড়াতে এমন পদক্ষে'প নিয়েছে দেশটির সরকার। করোনা এ'ড়াতে দেশের মানুষের প্রচেষ্টাকে বসন্ত আ'ক্র'মণাত্ব'ক ২০২০ বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। সেই জানুয়ারী থেকে বন্ধ করা হয়েছে ভিয়েতনামের সব স্কুল। মার্চের ১৬ তারিখ থেকে গণ কোয়ারেন্টিনে রয়েছে মানুষ। এরপরে বাইরের দেশ থেকে আসা প্রায় ১০ হাজার মানুষ দেশে এসে নতুন সমস্যা সৃষ্টি করে। এরপর মার্চের ২৫ তারিখ আন্তজার্তিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়। তারপরে যারা রাজধানীতে ছিলো ত্যা'গ করেছে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
ভিয়েতনামের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিসিন বিভাগের সাবেক পরিচালক জানান, দেশটিতে যেহেতু আক্রা'ন্তের সংখ্যা কম সেজন্য খুব সহজেই চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে। প্রথমে যাদের করোনা ধ'রা পড়ে বা যাদের করোনার সম্ভাবনা ছিলো তাদের হাসপাতালে আইসোলেশন এবং চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। যেসব ভবন করোনা রোগী পাওয়া সে ভবনের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এমনকি অনেককে কোয়ারেন্টিনে রাখতে বা'ধ্য করা হয়। মাস্ক পরার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা জা'রি করে দেশটি। সেই জের ধ'রেই মার্চের ১০ তারিখ একজনকে নয় মাসের জেল দেয় ভিয়েতনাম সরকার। এসব ক'ঠোর পদক্ষে'পের মাধ্যমে ভিয়েতনামের করোনা পরিস্থি'তি নি'য়ন্ত্র'ণে এসেছে।