আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, ২০ এপ্রিলের পর শ'র্তসাপেক্ষে ছাড় মিলতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। করোনা ঠে'কাতে চলা লকডাউনের জেরে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষ'তির সম্মুখীন হয়েছে দিনমজুর ও কৃষকরা।
ভাষণে এই বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০ এপ্রিলের পর পরি'স্থিতি পর্যালোচনা করে কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে। তবে তা হবে শর্তসাপেক্ষ। মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী জানান, বুধবার নির্দে'শিকা জারি করে কীসে কীসে ছাড় দেওয়া হবে জানিয়ে দেবে মোদি সরকার। সেইমতো বুধবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নির্দে'শিকা জারি করা হয়।
নির্দে'শিকায় বলা হয়েছে, ''সমাজের যে যে ক্ষেত্রগুলি গ্রামীণ অর্থনীতি, কৃষিকাজ এবং চাকরি তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেইসব ক্ষেত্রকে ছাড়ের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে এই সব ক্ষেত্রেই করোনা সম্পর্কিত নিয়মাবলী ক'ঠো'রভাবে মেনে চলতে হবে।'' নির্দে'শিকা অনুযায়ী, ২০ এপ্রিলের পর সং'ক্র'মিত এলাকা বাদে বাকি সব এলাকায় লকডাউনের আওতা থেকে বাদ যাবে কৃষিক্ষেত্র।
বাদ যাবে কৃষি সম্পর্কিত শিল্প। ছাড় দেওয়া হয়েছে কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন, অনুমোদিত কিষাণ মান্ডির মাধ্যমে ফসল বিক্রি এবং স্থানীয় স্তরে ফসল বিক্রির উপর। দুধ বিক্রি, দুগ্ধ সরবরাহ, মৎস্য চাষ এবং পোল্ট্রি ফার্মের কাজের ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। চা ও কফি উৎপাদনে ক্ষেত্রে পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হবে। ছাড় দেওয়া হবে রাবার চাষের ক্ষেত্রেও। উদ্যান পালনেও দেওয়া হবে ছাড়।
গ্রামীণ অর্থনীতিকে অক্সিজেন দিতে কুটির শিল্প, গ্রামাঞ্চলে কাজ করা খাদ্য প্রক্রি'য়াকরণ শিল্প, রাস্তা তৈরি, সেচ প্রকল্প, নির্মাণ শিল্প, গ্রামাঞ্চলে শিল্প প্রকল্পের কাজ, একশ দিনের কাজ (সেচ ও জল সংর'ক্ষণে জোর দিতে হবে) প্রভৃতিতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। নিয়'ন্ত্রিত উপায়ে ছাড় দেওয়া হবে শহুরে শিল্প কারখানায়। কেন্দ্রের দাবি, এই ক্ষেত্রগুলিতে ছাড় দিলে গ্রামাঞ্চলে কাজের সুযোগ তৈরি হবে। পরিযায়ী শ্রমিকরাও কাজ করার সুযোগ পাবেন। তবে, সব ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ সাব'ধানতা অবলম্বন করতে হবে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন