আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামা'রী করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও আত'ঙ্কের মধ্যেই স্বল্প-মাত্রার ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে চীন বলে দাবি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন এই অভিযোগ বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার ইতোমধ্যে তলানিতে থাকা সম্পর্ককে আরও ঝুঁ'কিতে ফেলে দেবে আশ'ঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অ'স্ত্র নিয়'ন্ত্রণ চুক্তির বাধ্যবাধকতা অনুসারে মার্কিন অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। কিন্তু চীনের লোপ নুর পরীক্ষা কেন্দ্রের খনন ও অন্যান্য তৎপরতা পারমাণবিক পরীক্ষার অনুমিত প্রমাণই দিচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন বলছে, লোপ নুর পরীক্ষা কেন্দ্রে বছরজুড়ে সম্ভাব্য প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি সেখানে বি'স্ফো'রক ধা'রণ কক্ষ ব্যবহার ও ব্যা'পক খনন তৎপরতা চালানো হয়েছে।
চীনের পার'মাণবিক তৎপরতা নিয়ে স্বচ্ছতার অভাবের কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। যক্তরাষ্ট্র ও চীন সম'ন্বিত পরীক্ষা নি'ষি'দ্ধ চু'ক্তিতে (সিটিবিটি) সই করেছে। কিন্তু কোনো দেশই অনুমোদন না দেয়ায় চুক্তি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়নের দিকে যায়নি। যদিও সিটিবিটির শর্তাবলীতে অবিচল থাকার কথা জানিয়েছে চীন। আর পরমাণু পরীক্ষার ক্ষেত্রে মুলতবিমূলক একটা সময় পালন করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
যদি চুক্তি কার্যকর করা হয়, তবে স'ন্দে'হজনক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কলাকৌশলও তাতে অন্ত'র্ভুক্ত হবে। গত বছরের মে মাসে রাশিয়ার বি'রু'দ্ধেও একই অভিযো'গ তুলেছিল মার্কিন প্রতির'ক্ষা গোয়ে'ন্দারা। যদিও তা এখন পর্যন্ত নি'শ্চিত করা হয়নি। সিটিবিটি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে মার্কিনরা বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পরমাণু অ'স্ত্র পরীক্ষার মুলতবি কিংবা মোরাটোরিয়ামের প্রতি তার দেশ প্রতিশ্রুতিব'দ্ধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ করছে, তা সঠিক না।