আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আক্রা'ন্তদের থেকে বাহকদের নিয়েই চি'ন্তা বেশি। তাদের থেকেই ছড়াচ্ছে মা'রণ জী'বাণু। তাই এবার তাদের খোঁ'জেই তৎপর হল ভারত সরকার। পুল স্যাম্পেল পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর। টেস্টিং কিট কম থাকলেও এই পদ্ধতিতে দেশের সিংহ ভাগ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব বলে মত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের।
পুল স্যাম্পেল টেস্টিংয়ের মাধ্যমে খরচ বাঁচিয়ে কম সংখ্যক কিটের সাহায্যে পরীক্ষা করা যাবে। এর ফলে করোনা আক্রা'ন্তদের খোঁ'জে রাজ্যজুড়ে আরও বেশি সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। একইসঙ্গে অনেক বেশি স্ক্রিনিং করা সম্ভব হবে। এ রাজ্যেও এবার পুল স্যাম্পেল টেস্ট করা হবে বলে নির্দে'শিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। গত ১৩ এপ্রিল এই পুল স্যাম্পেল টেস্ট নিয়ে আইসিএমআর গাইড লাইন দিয়েছিল।
কেরালায় এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষায় এসেছে সাফল্য। সেই কেরালা মডেলকেই অনুসরণ করতে চাইছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ রিসার্চ। বিশেষজ্ঞদের কথায়, যাদের রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষ'মতা বেশি এরকম অনেকের শরীরেই করোনার জীবা'ণু রয়েছে। তারা সেই জীবা'ণু বয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ তাদের কোনও লক্ষণ ধ'রা পড়ছে না। এইধরণের বাহকরাই এখন দেশজুড়ে সবচেয়ে বেশি চি'ন্তার কারণ। কাজেই, সেই সমস্ত জীবাণু বাহকদের আগে চি'হ্নিত করা জরুরি।
এই পুল স্যাম্পেল টেস্টটা কী : ২ থেকে ৫ জনের লা'লারসের নমুনা সংগ্রহ করে সেটাকে মিশিয়ে একটা নমুনা বানানো হবে। এবার সেই সিঙ্গল ইউনিটটা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। পরীক্ষার পর যদি জানা যায় সেই সিঙ্গল ইউনিট এর নমুনা করোনা নেগেটিভ তাহলে ওই দুই বা পাঁচজন ব্যক্তিকে নেগে'টিভ ধ'রে নেওয়া হবে। আর যদি তাদের প্রত্যেকের মি'শ্রিত নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাহলে প্রত্যেকের আবার আলাদা করে পরীক্ষা হবে।
আইসিএমআর এর গাইড লাইন বলছে, যেসব এলাকার জনসংখ্যার ২ শতাংশের কম এবং ৫ শতাংশের মধ্যে করোনা আক্রা'ন্ত সেখানে এই পুল স্যাম্পেল টেস্ট করা যেতে পারে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরও এই পুল স্যাম্পেল টেস্টকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। আরও কিছুটা সত'র্ক হয়েই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর চাইছে জনসংখ্যার ২ শতাংশ কম আক্রা'ন্ত এলাকাতেই এই পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করতে। বাকি সব জায়গায় প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদা পরীক্ষা হবে।
এই পুল স্যাম্পেল টেস্টে প্রথমত কিট কম লাগছে। দ্বিতীয়ত, খরচ কম। তৃতীয়ত, লোকবলও কম লাগবে। অংকের হিসাব বলছে এই পদ্ধতিতে চারগুন বেশি টেস্ট করা সম্ভব হবে। দ্রুত চিহ্নিত করাও যাবে। বর্তমানে এ রাজ্যে পরীক্ষাগারে একসঙ্গে ৯০ থেকে ১০০টি নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা রয়েছে। আর পুল স্যাম্পেল টেস্ট হলে একসঙ্গে অনেকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট জানা যাবে।
এই পুল স্যাম্পেল টেস্ট চালুর বিষয়টি শনিবার নির্দে'শিকা আকারে জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই করোনা পরীক্ষায় ব়্যাপিড টেস্টে জোর দিয়েছে রাজ্য। করোনা উপসর্গ না থাকলেও কোভিড টেস্ট হবে। যেহেতু কিটের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম তাই এবার আরও বেশি করে করোনা আক্রা'ন্ত চি'হ্নিত করতে আইসিএমআর-এর গাইড লাইন মেনে পুল স্যাম্পেল টেস্টের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।