আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা ভাইরাস বিস্তারের জন্য মুসলমানদের দায়ী করছে ভারতের অনেক মানুষ। অনেক হাসপাতাল মুসলিমদের চিকিৎসা করছে না। গর্ভবতী দুই নারীকে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে দুজনেরই সন্তান মা'রা গেছে। মর্মা'ন্তিক ঘটনা দুটো ঘটেছে ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থানে। দ্য টেলিগ্রাফ, ইন্ডিয়া টুডে
ঝাড়খণ্ডের জামসেদপুরের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী রিজওয়ানা খাতুন। হঠাৎ র'ক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে দ্রুত নেয়া হয় এমজিএম হাসপাতালে। সেখানে তার সঙ্গে অমানবিক করা হয়। ভর্তি তো করেইনি, তাকে মারধ'র করে হাসপাতালের লোকেরা। মেঝেতে পড়া র'ক্ত পরিস্কার করতে বাধ্য করা হয় তাকে। এক পর্যায়ে রিজওয়ানার গর্ভ'পাত হয়। এর আগে রাজস্থানের ভরতপুর জেলার সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ফিরে আসতে হয় এক নারীকে। তিনিও সন্তান হারিয়েছেন।
উত্তর প্রদেশের মীরাটে অবস্থিত ভ্যালেন্টাইন ক্যান্সার হসপিটাল হিন্দি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানায়, তারা করোনা শনাক্ত কোন মুসলমান রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেবে না। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখালে ভর্তি করা হবে বলে জানায় বেসরকারি হাসপাতালটি। তবে সুখের বিষয়, উত্তর প্রদেশ পুলিশ ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।