শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৪:২৮:০৮

করোনার নয়া উপসর্গ 'কভিড ফিট', কী এই ফিট ও কেন হয়?

করোনার নয়া উপসর্গ 'কভিড ফিট', কী এই ফিট ও কেন হয়?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের নয়া উপসর্গ হিসেবে দেখা দিচ্ছে ত্বকের কিছু সম'স্যা। মূলত র‌্যা'শজনিত সম'স্যা। কখনও বুকে-পিঠে৷ কখনও পায়ে। এই উপসর্গ বিশেষ করে দেখা দিচ্ছে শিশু ও কমবয়সীদের মধ্যে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম দেওয়া হয়েছে 'কভিড ফিট'। এই নতুন উপসর্গ প্রথম দেখা দেয় ইতালিতে। 

তারপর ফিনল্যান্ড, স্পেন, কানাডা, আমেরিকা থেকেও এমন উপসর্গের খবর আসতে শুরু করে৷ দেখা যায়, যে সব অঞ্চলে কভিড রো'গীর সংখ্যা বেশি, সেখানেই এই জাতীয় সম'স্যা বেশি দেখা যাচ্ছে৷ মূলত ঠাণ্ডার দেশগুলোতে এই ধরনের সম'স্যা দেখা দিলেও ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোতেও এমন সম'স্যা যে কোনো সময দেখা দিতে পারে বলে দাবি গবেষকদের।

কভিড-১৯ নিয়ে এখনও চি'ন্তিত চিকিৎসক-গবেষকরা। রোগের প্রকৃতি ও উপসর্গ বুঝতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নানা রকম অভিজ্ঞতার মুখামুখি হচ্ছেন তারা। দেশ বদলালে, পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে উপসর্গও! কোনো দেশে হঠাৎ স্বাদ বা গন্ধের বোধ চলে যাচ্ছে। কখনও বা দেখা দিচ্ছে 'পিঙ্ক আই'৷ সে ক্ষেত্রে আবার ব'দলে যাচ্ছে চোখের রং। সে সবের তালিকায় যোগ হলো কভিড ফিট।

কী এই কভিড ফিট : কভিডের এই নয়া উপসর্গে হাত বা পায়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ জুড়ে ফ্রস্ট বাইটের মতো হয়। বরফ থেকে য়েমন ঘা হয় পায়ে, ঠিক তেমনই। প্রাথমিক পর্যায়ে তা লালচে ফোস্কার মতো দেখায়। সেই অংশের রঙও বদলে যায়। সঙ্গে দেখা দেয় চুলকানি। পায়ের পাতা, হাতের তালু, হাত-পায়ের আঙুলে এই সমস্যা বেশি হয়। 

কেন হয় কভিড ফিট : এই 'কেন হয়' এর উত্তর এখনই খুঁজে পাওয়া অস'ম্ভব বলে মত ত্বকবিশেষজ্ঞদের। তারা এটিকে 'অ্যাকিউট অ্যাক্রোইস্কিমিয়া' বলেও ডাকছে। তবে এই উপসর্গ বিনা পরামর্শে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাওয়ার জন্যই কি-না সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। 

গবেষকদের দাবি, হাত-পায়ের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম র'ক্তবাহী নালির মধ্যে আ'ণুবী'ক্ষণিক রক্তের ডেলা জমে এই সম'স্যা হচ্ছে৷ তবে সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। বরং এ নিয়ে আরো অনেক গবেষণা প্রয়োজন। শুধু সাধারণ র‌্যাশই নয়, বিদেশের বেশ কয়েক জন রোগীর বেলায় আমবাতের মতো উপসর্গও দেখা দিয়েছে। 

ত্বকবিশেষজ্ঞরা জানান, ২৭ মার্চ ইতালি থেকে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে প্রথম এ ধরনের সম'স্যার কথা জানা যায়৷ ৮৮ জন কভিড-১৯ আক্রা'ন্ত রোগীকে স্টাডি করে তারা দেখেন, প্রায় ২০ শতাংশের মধ্যে অন্যান্য উপসর্গের পাশাপাশি ত্বকেও কিছু সমস্যা হয়েছে৷ তার মধ্যে ৮ জনের এই সমস্যা ছিল শুরু থেকেই। ১০ জনের হয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর৷ 

তাদের মধ্যে ১৪ জনের ত্বকে লাল র‌্যাশ হয়েছে, যাকে বলে 'এরিথিমেটাস র‌্যাশ', ৩ জনের হয়েছে 'আর্টিকেরিয়া' বা আমবাত, এক জনের জলবসন্তের মতো ফোস্কা৷ সেটি আবার শুধু হাত-পায়ে নয়, বরং বুকে-পিঠে বেশি৷ 'আমেরিকান কলেজ অব ডার্মাটোলজি'-র ত্বক বিশেষজ্ঞরাও এই বিষয়টি নিয়ে সত'র্ক করেছেন৷ জানিয়েছেন এ রকম রোগীর দেখা পেলে সঙ্গে সঙ্গে যেন কভিড-১৯-এর পরীক্ষা করানো হয়৷ সূত্র: আনন্দবাজার।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে