রাশিয়ার সেই বিমানে পুতিনই বোমা পেতে রেখেছিলেন!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা। এমন পরিকল্পনা এঁটেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত মাসে মিসরের সিনাইয়ে বিধ্বস্ত রুশ যাত্রীবাহী বিমানে বোমা পেতে রাখার ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরই হাত ছিল! সিরিয়ায় রুশ বিমান হামলার পক্ষে সমর্থন আদায়ে পুতিন এ ঘটনা ঘটান বলে দেশটির এক সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মেট্রোজেট বিমানটি মিসরের আকাশে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২২৪ নিহত হন। ক্রেমলিন সুপরিকল্পিতভাবে বিমানটি আকাশে উড়িয়ে দিয়েছে বলে বিশ্বাস করেন গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির সাবেক গোয়েন্দা বরিস কারপিচকভ। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিতে এ কাজ করেছে তারা।
রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার (জিআরইউ) একজন জে. লেফটেন্যান্ট হচ্ছেন এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগের সূত্র। দৃশ্যত তিনি কারপিচকভকে বলেছেন, ওই অঞ্চলে প্রভাব হারানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন পুতিন। তিনি মেট্রোজেট বিমানে বোমা পেতে রেখে ‘এক বুলেটে দুটি খরগোশ হত্যা’ করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি বলেন, এতে সামরিক হামলার প্রতি যেমন সমর্থন বৃদ্ধি করবে তেমনি আরব দেশগুলোর সাথে অস্ত্র ব্যবসার মাধ্যমে রাশিয়ার ভাণ্ডারে বিপুল অর্থ অর্থ আসবে। ওই বিমান ধ্বংসে ২২৪ জন নিহত হন।
সাবেক কেজিবি চর কারপিচকভ লিখেছেন, এসব লক্ষ্য অর্জন এবং ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে হামলায় পশ্চিমাদের সমর্থন লাভ ক্রেমলিনের জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটানো জরুরি হয়ে পড়েছিল, যা বিশ্বব্যাপীর দৃষ্টি কেড়েছে। সমবেদনা প্রকাশ এবং রাশিয়ার সামরিক অভিযানে অনুমোদন প্রদান করেছে।
ওই দলিলে বলা হয়েছে, এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিল, আইএসের প্রতি আন্তর্জাতিক ঘৃণার সৃষ্টি করা এবং সীমা ও আপত্তি ছাড়াই সামরিক অভিযানে যথেচ্ছা শক্তি প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সমবেদনা লাভ।
গত ৩১ অক্টোবর মেট্রোজেট বিমানটি মিসরের শার্ম আল শেষ থেকে ২২৪ জন আরোহী নিয়ে সেইন্ট পিটার্সবার্গ আসার পথে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে আরোহীদের বেশির ভাগই ছিল রাশিয়ান পর্যটক। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ইউকে
২৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম