আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার শাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখা'তের জন্য রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান ঐক্যমতে পৌঁছেছে। আর বিরো'ধী সদস্যদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে যু'দ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। রাশিয়ান আন্তর্জাতিকবিষয়ক কাউন্সিল (আরআইএসি) এমনটাই জানিয়েছে।
রাশিয়ান সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম সংস্থা হলো আরআইএসি। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাউন্ডেশন ফর প্রটেকশন অব ন্যাশনাল ভ্যালু নামক একটি রুশ সংস্থা সিরিয়ায় একটি মতামত জরিপ পরিচালনা করে আসছে। এটি রাশিয়ার নিরা'পত্তা দপ্তর এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। এটি একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা দিবে।
সিরিয়ার জনগণ আল-আসাদকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় না; এমন বার্তা দিতে পারে ওই মতামত জরিপ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ শুরুর পর থেকেই মস্কো আল-আসাদের পক্ষ নেওয়া থেকে দূরে সরে ছিল। আরো বলা হয়, সিরিয়ার মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে আসাদ ক্ষমতায় থাকবেন নাকি থাকবেন না। সিরিয়ায় পরিবর্তন আনতে রাশিয়া আরো গু'রুতর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
রাশিয়ার তাস সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়া স'ন্দে'হ করছে যে আল-আসাদ সিরিয়াকে আর নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। সিরিয়ার শাসন ব্যবস্থার প্রধান আফগান পরি'স্থিতির দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। যা রাশিয়ার পক্ষে অত্যন্ত উদ্বে'গজনক। বার্তা সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, মার্কিন নিষে'ধা'জ্ঞার কারণে ভু'গছে ইরান। তাই এই দেশটি পুরো অঞ্চলে স্থিতিশীলতা অর্জনে আগ্রহী নয়।
ইরান সিরিয়াকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে যু'দ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করছে। বলা হচ্ছে, মস্কো তার স্বার্থের নি'শ্চয়তা দেয় এমন একটি চুক্তির আলোচনার জন্য আল-আসাদকে ব্যবহার করতে প্রস্তুত। তাসের মতে, আল-আসাদ রাশিয়ানদের দাবি অস্বী'কার করতে পারেন না। তাই তিনি তাদের কথা শুনতে চান। তবে শেষ পর্যন্ত তেহরানের দাবি বাস্তবায়ন করেন।
রাশিয়ান এই বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, সিরিয়াতে উপস্থিত বাহিনী একে অপরের প্রভাবের সুযোগকে মেনে নেওয়ার মতো পরি'স্থিতির জন্য মস্কো কাজ করছে। ফলস্বরূপ সিরিয়ায়, তেহরান ও মস্কো দ্বারা সুর'ক্ষিত একটি অঞ্চলে বিভ'ক্ত থাকবে। তুরস্ক সমর্থিত একটি বিরো'ধী অঞ্চলও থাকবে। ওয়াশিংটন এবং এসডিএফ সমর্থিত থাকবে পূর্ব ইউফ্রেটিস। এই বিকল্পটি সব পক্ষের জন্য কম ব্যয়বহুল। সূত্র: মিডিল ইস্ট মনিটর।