আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে মহামা'রি রূপ নিয়েছে করোনা ভাইরাস। চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘা'তী এই ভাইরাসে সারা বিশ্বে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রা'ন্ত ও মৃ'তের সংখ্যা। লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব। করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে মা'রা'ত্মক এক ম'ন্দায় ফেলে দিয়েছে। আর এমন পরি'স্থিতিতেও দেশের অর্থনৈতিক হাল সামাল দিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন পেরুর অর্থমন্ত্রী মারিয়া অন্টোনিয়েটা আলভা।
সবাই তাকে টনি বলে ডাকেন, দেশের মায়েরা তাদের সন্তানদের নিয়ে এই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। শিল্পীরা তার ছবি আঁকেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। দেশের টিভি চ্যানেল তার সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। এক কথায় তিনি যেন পেরুর 'রকস্টার'। করোনা ভাইরাসের সময় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পু'নরু'দ্ধারের জন্য মাত্র ৩৫ বছর বয়সী এই অর্থমন্ত্রীর একের পর এক পদক্ষেপের প্রশং'সা করছেন সবাই।
সেই পদক্ষেপের ফলে পেরুর অর্থনীতি অনেকটা সামাল দেওয়া গেছে। দেশে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছোট ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই তার প্রশংসা করছেন। গত অক্টোবরেই পেরুর অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন মারিয়া অন্টোনিয়েটা আলভা। কিন্তু এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা-র মন্ত্রিসভার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি।
শুধু তার অর্থনৈতিক পদক্ষেপের জন্যই নয়, এই আত'ঙ্কের সময় তিনি যেভাবে দেশের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তা তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। মারিয়ার অর্থনৈতিক পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন হার্ভার্ড ইকনমিস্ট রিকার্ডো হাউসম্যান। রিকার্ডো মারিয়ার প্রফেসর ছিলেন। এখন রিকার্ডো একটি অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন। এই দল পেরু এবং অন্য আরও ১০টি দেশকে এই মহামা'রির সময় অর্থনৈতিক হাল সামলানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।