আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বিরোধপূর্ণ কাশ্মির সীমান্ত এলাকায় নতুন করে ভারতের সেনাবাহিনীর তৎপরতা জোরদার এবং ওই এলাকায় তাদের হা'মলা বৃদ্ধিতে উ'দ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সীমান্তে ভারতীয় সামরিক উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইসলামাবাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা যু'দ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সাম্প্রতিক গো'লযো'গ ও সং'ঘা'তময় প'রিস্থিতিকে তারা যুদ্ধ শুরুর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ইমরান খান এ অঞ্চলের দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক সমাজকে হুঁ'শিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যদি যু'দ্ধ বে'ধে যায় তাহলে এর পরিণত সব দেশকেই ভোগ করতে হবে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিরোধপূর্ণ কাশ্মিরে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় উ'ত্তেজনা বেড়েছে এবং দু'পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে মাঝে মধ্যেই সং'ঘ'র্ষের ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় সীমান্তে নতুন করে ভারতের সামরিক তৎপরতা শুরু এবং ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে তাদের আ'ক্রমণা'ত্ম'ক অবস্থান থেকে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা মনে করছেন, ভারত আসলে যু'দ্ধ শুরুর ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছে যার পরিণতি এ অঞ্চলের সব দেশের জন্যই হবে ভ'য়াব'হ।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের জঙ্গিবিমান পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হা'মলা চা'লিয়ে প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ল'ঙ্ঘন করেছিল। কিন্তু পাকিস্তান দুটি বিমান ভূপাতিত করে ওই হা'মলার জবাব দিয়েছিল। এ ছাড়া মাত্র কয়েক মাস আগে ভারতের সেনাবাহিনী অভিন্ন সীমান্তে বড় ধরনের সামরিক মহ'ড়া চালায় এবং সম্প্রতি তারা কাশ্মির সীমান্তে নতুন করে সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে। এসব তৎপরতার মাধ্যমে ভারত আসলে দু'দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যু'দ্ধে নিজেদের প্রস্তুতি ও শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
যাইহোক, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ হচ্ছে, কাশ্মিরের মালিকানা নিয়ে বি'রোধ। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেশমি সৌদা পুরি বলেছেন, 'কাশ্মির অনেক পুরানো একটি সং'কট এবং দশকের পর দশক ধরে এ সং'কট অব্যাহত থাকায় বোঝা যায় সং'কট নিরসনের জন্য স্বদিচ্ছা কোনো দেশেরই নেই।'-পার্সটুডে