আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোনও আর্থিক প্যাকেজ নয়, গরীব কৃষক-শ্রমিকদের টাকার প্রয়োজন। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিলে তারা আরও বেশি উপকৃত হবেন। শনিবার ভারতের মোদি সরকারের বি'রু'দ্ধে এমনই ঝাঁ'ঝালো ভাষায় মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তার মতে, এটা যদি এখনই করা সম্ভব না হয় তা হলে ''ভ'য়াব'হ বিপ'র্যয়'' নেমে আসবে দেশ জুড়ে।
রাহুল বলেন, ''সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, মনরেগা'র অধীনে ২০০ দিনের কাজ, কৃষকদের জন্য টাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। কারণ এঁরাই দেশের ভবিষ্যৎ।'' লকডাউনের জেরে গোটা দেশে অর্থনীতির চাকা স্ত'ব্ধ হয়ে গিয়েছিল। অর্থনীতিকে সচল করতে কেন্দ্র বেশ কিছু আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করে।
এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলেই মোদি সরকারকে বিঁ'ধেছেন রাহুল। ভিডিয়ো কনফারেন্সে সাংবাদিক বৈঠক করে এই আর্থিক প্যাকেজকে কটা'ক্ষ করে রাহুল বলেন, এটা আসলে ''ঋ'ণের প্যাকেজ'। যা পরিযায়ী শ্রমিক এবং কৃষকদের পক্ষে মোটেই স্বস্তির নয়। গত বছরে কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ন্যায় প্রকল্পের বিষয়টিও এ দিন উত্থাপন করেন রাহুল।
লকডাউনের মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে চা'ঙ্গা করতে গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা ভারতের জিডিপি'র প্রায় ১০ শতাংশ। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় 'আত্মনির্ভর ভারত অভিযান।' করোনা ভাইরাসের সং'ক্র'মণ ঠে'কাতে লকডাউনের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের।
সেই ক্ষেত্রকে চা'ঙ্গা করতে গত ১৩ মে বড়সড় আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজের মধ্যে ৩ লক্ষ কোটির তহবিল তৈরি করে এই ক্ষেত্রকে ঋণ দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু এ সবই 'মিথ্যা প্রতিশ্রুতি' বলে কেন্দ্রকে নি'শা'না করেছে কংগ্রেস। তাদের যুক্তি, এই প্যাকেজের মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবেন না কৃষক বা পরিযায়ী শ্রমিকরা।
বলা হয়েছিল ওই প্রকল্পের আওয়তায় সমাজের গবির শ্রেণির বার্ষিক আয় ৭২ হাজার করা হবে। কংগ্রেসের প্রস্তাবিত সে রকমই প্রকল্প সরকারের নিয়ে আসা উচিত বলেই মনে করেন রাহুল। তিনি বলেন, ''যে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছে তাদের ঋণ নয়, টাকার প্রয়োজন। ঠিক তেমনই যে কৃষক স'ঙ্ক'টে রয়েছেন তারও টাকার প্রয়োজন। ঋ'ণের প্রয়োজন নেই। আর তা যদি আমরা না করতে পারি তা হলে ভ'য়াব'হ বি'পর্যয় নেমে আসবে।''