আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা আবহেই দেশের পূর্বপ্রান্তে হা'না দিচ্ছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সবচেয়ে বেশি ক্ষ'তিগ্র'স্ত হওয়ার কথা পশ্চিমবঙ্গের। মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বি'ক্ষি'প্ত ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিককালের যে কোনও সাইক্লোনের চেয়েও আমফানের রূপ এবং শক্তি অনেক বেশি ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা-সহ বাংলার ৭ জেলায় ব্যা'পক তা'ণ্ডব চলবে সুপার সাইক্লোনের। ক্ষ'তি এড়াতে প্রশাসন সদা সত'র্ক ছিল। বাড়ি থেকে কাউকে না বেরনোর নির্দেশ দিয়েছিল। আম্ফানে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পুরো ঝড়টাই পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
তিনি বলেন, ''আজকে যেটা হল তা ১৯৩৭ সালের কথা মনে করিয়ে দিল। কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আজকে যে তা'ণ্ডব দেখেছি তাতে খুব আঘা'ত পেয়েছি। ভারত সরকারের কাছে আবেদন থাকবে এই সময় রাজনীতি না করে পশ্চিমবঙ্গের পাশে দাঁড়ান। আমরা যেখানে কাজ করছি সেই নবান্নেরও অনেক ক্ষ'তি হয়েছে। আমি সাধারণ মানুষকে আবেদন করব এখনই রিলিফ ক্যাম্প ছেড়ে কোথাও যাবেন না। সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে চলুন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরি'স্থিতি সামাল দিতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। সেই সময়টা ধৈর্য ধ'রে থাকুন। এখনও কয়েকটি জায়গায় তা'ণ্ডব চলছে। বারাকপুর, বারাসত, বসিরহাট ও গঙ্গাসাগর সাব ডিভিশন, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুরের অবস্থাও খুব খা'রাপ। রাস্তাঘাট সবই প্রায় ব'ন্ধ। এখনও আমি ভাবতে পারছি না সবকিছু ঠিক কী করে করব? যা খবর পাচ্ছি তাতে সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। এত ঝড় হবে কেউ ভাবতে পারেনি। আবহাওয়াবিদরাও বুঝতে পারেননি। সবার কাছে আবেদন করব এই সময়ে বাংলার পাশে এসে দাঁড়ান। দয়া করে এখন রাজনীতি করবেন না। রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রমের কাছে ভ'য়াব'হ এই সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করব। আমাদের সব পঞ্চায়েতগুলিকেও এই কাজে মনোনিবেশ করতে বলব।''