শনিবার, ২৩ মে, ২০২০, ০৬:২৮:২৮

করোনায় মানবেতর জীবন-যাপনের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ৯ জনের কুয়ায় ঝাঁপ!

 করোনায় মানবেতর জীবন-যাপনের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ৯ জনের কুয়ায় ঝাঁপ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  করোনা লকডাউনে কর্মহীন, টা'না দু’মাস বেতন ব'ন্ধ। মানবেতর জীবন-যাপনের ক'ষ্ট স'হ্য করতে না পেরে গণ-আ'ত্মহ'ত্যার পথ বেঁ'ছে নিলেন এক শ্রমিক ও তার পরিবারের ৬ সদস্যসহ অন্তত ৯ জন। একসঙ্গে কুয়ায় ঝাঁ'প দিয়ে আ'ত্মহ'ত্যা করেছেন তারা সবাই। ম'র্মা'ন্তি'ক এই ঘ'টনা ঘ'টেছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে। নিহ'তদের ৬ জনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে এবং তারা একই পরিবারের। এছাড়া দু’জন বিহারের এবং এক জন ত্রিপুরার।

এর আগে, বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে সি রাও বলেছিলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফে'রার জন্য ট্রেন-বাসের ব'ন্দোব'স্ত করা হয়েছে। হেঁটে যেন কেউ বাড়ির পথ না-ধ'রেন। সেদিনই হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে গোরেকুন্টা গ্রামের এই কুয়া থেকে চারজনের ম'রদে'হ উ'দ্ধার হয়। শুক্রবার একই কুয়া থেকে আরও পাঁচজনের ম'রদে'হ উ'দ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধা'রণা, শ্রমিকরা গণ-আ'ত্মহ'ত্যা করে থাকতে পারেন। তারা লকডাউনের কারণে বাড়িতে ফিরতে পারছিলেন না। দু’মাস ধ'রে জুটমিল ও অন্য কারখানা থেকে বেতন পাননি এই শ্রমিকরা। কারও শরীরে আ'ঘা'তের চি'হ্নও নেই। ফলে এটি হ'ত্যাকা'ণ্ড নয় বলে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘরে ফিরতে না-পারা, আশ্রয় হা'রানো এবং চ'রম আর্থিক স'ঙ্ক'ট নিয়ে নিহ'তরা মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের বাসিন্দা মাকসুদ আলম ২০ বছর আগে গোরেকন্টার এক জুট মিলে কাজ পান। কারখানার পাশে দু’টি ঘরে সপরিবারে বসবাস করতেন তিনি। লকডাউনে বেতন বন্ধ হয়। ভাড়া দিতে না পারায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় তাদের।

স্থানীয় এক দোকানদার নিজের গুদামে আশ্রয় দিয়েছিলেন এই শ্রমিকদের। সেই গুদামের কাছে কুয়াটিতে মাকসুদ, তার স্ত্রী নিশা, দুই ছেলে সোহেল ও শাবাদ, মেয়ে বুশরা খাতুন এবং তিন বছরের নাতি শাকিলের ম'রদে'হ পাওয়া যায়। এছাড়া ত্রিপুরার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ জুট মিলের গাড়ি চা'লাতেন। বিহারের শ্রীরাম ও শ্যাম অন্য একটি কারখানায় কাজ করতেন। সূত্র- আনন্দবাজার।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে