আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে করোনাভাইরাস সং'ক্রমণের কথা সর্বপ্রথম জানা যায় গত ১১ ই মার্চ। এরপর দেশটিতে বেশ দ্রুত গতিতে সং'ক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এবং একমাসের মধ্যেই প্রায় সবগুলো প্রদেশ আক্রা'ন্ত হয়।
চীন এবং ব্রিটেনের তুলনায় তুরস্কে বেশ দ্রুত গতিতে করোনাভাইরাস ছ'ড়িয়ে পড়ায় অনেকের আশং'কা ছিল তুরস্কের অবস্থা হয়তো ইতালির মতো হয়ে উঠতে পারে এবং মৃ'তের সংখ্যা অনেক বাড়বে। কিন্তু প্রায় তিন মাসের মাথায় এসেও সেটি ঘটেনি। এমনকি তুরস্কে পুরোপুরি লকডাউনও দেওয়া হয়নি।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী তুরস্কে মৃ'তের সংখ্যা ৪৩৯৭ জন। কিন্তু অনেক চিকিৎসক মনে করেন প্রকৃত অর্থে মৃ'তের সংখ্যা এর দ্বিগুণ হতে পারে। কারণ, যারা পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড১৯ রোগী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, তাদের মধ্যে কেউ মা'রা গেলে সেটিকে পরিসংখ্যানে দেখানো হয়। তারপরেও করোনাভাইরাস সং'ক্রমণের ভ'য়ংকর দিনগুলোতে তুরস্কে মৃ'তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। অস্বাভাবিক লকডাউন
ব্রিটেনের কেন্ট ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজির শিক্ষক জেরেমি রসম্যান বলেন, তুরস্ক বেশ পরিষ্কারভাবেই একটি বড় ধরণের দু'র্যোগ পাশ কাটিয়ে গেছে।
জেরেমি রসম্যান বলেন, যে কয়েকটি দেশ মোটামুটি দ্রুততার সাথে টেস্ট করেছে এবং আক্রা'ন্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা মানুষদের সনা'ক্ত করার মাধ্যমে তাদের আলাদা করেছে, তদের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম। এছাড়াও যে কয়েকটি দেশ সং'ক্রমণের বিস্তার কমাতে সক্ষম হয়েছে তুরস্ক তাদের মধ্যে অন্যতম।
তুরস্কে পুরোপুরি লকডাউন দেওয়া হয়নি, তবে নানা বিধি-নিষেধ ছিল। তুরস্কে যখন সং'ক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিল তখন দেশটিতে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এর মধ্যে ছিল – গণ পরিবহনসহ বিভিন্ন জায়গায় বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার, রেস্টুরেন্ট ও কফি-শপ বন্ধ করা, জনবহুল জায়গায় শপিং বন্ধ রাখা এবং মসজিদে জমায়েত বন্ধ করা।
যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি এবং ২০ বছরের কম তাদের পুরোপুরি বাসায় আ'টকে রাখা হয়েছিল। এছাড়া ছুটির দিনগুলোতে কারফিউ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বড় শহরগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।