শনিবার, ৩০ মে, ২০২০, ০৬:১৮:২৯

বিক্ষো'ভ ছ'ড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক রাজ্যে, লাখ লাখ মানুষ ঘর ছেড়ে বাহিরে

বিক্ষো'ভ ছ'ড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক রাজ্যে, লাখ লাখ মানুষ ঘর ছেড়ে বাহিরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুলিশি নি'র্যা'তনের পর কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের  মৃ'ত্যুতে ক্ষো'ভের আ'গুন জ্ব'লে উ'ঠছে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক রাজ্যে, শহরে। মিনেসোটা, নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়াতে দেখা দিয়েছে উ'ত্তাল বি'ক্ষো'ভ। বি'ক্ষো'ভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সং'ঘ'র্ষ হয়েছে নিউ ইয়র্ক, লস অ্যানজেলেস, শিকাগো, ডেনভার, হিউজটন, লুইসভিলে, ফিনিক্স, কলম্বাস ও মেম্ফিসে। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় বি'ক্ষু'ব্ধ জনতা হোয়াইট হাউজের বাইরে বি'ক্ষো'ভ করে। এ সময় তারা জর্জ ফ্লয়েডের ছবিসহ প্লাকার্ড না'ড়িয়ে স্লো'গান দেয়। ফ্লয়েড হ'ত্যায় বিচার দা'বি করতে থাকে। তবে হোয়াইট হাউজ এ সময় ছিল লকডাউনে। ওদিকে বি'ক্ষোভের রিপো'র্ট কভার করতে যাওয়া সিএনএনের সাংবাদিক ওমর জামিনেজকে প্রথমে গ্রে'প্তার করে পুলিশ।

শুক্রবার সকালের দিকে তিনি এ সময় লাই'ভ স'ম্প্রচারে রিপো'র্ট দিচ্ছিলেন। পুলিশ তার ক্যামেরাম্যান ও প্রযোজককে আট'ক করে। ওমর জামিনেজকে হাত পি'ছনে নিয়ে হ্যা'ন্ডকা'ফ প'রানো হয়। পরে তাদেরকে কোন অ'ভি'যোগ গঠন ছাড়াই ছে'ড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘ'টনাকে অগ্রহণযো'গ্য আ'খ্যায়িত করে ক্ষ'মা চেয়েছেন মিনেসোটার গভর্নর টি'ম ওয়ালজ। 

অন্যদিকে সিএনএন বলেছে, এভাবে সাংবাদিকদের গ্রে'প্তারে সংবিধান ল'ঙ্ঘ'ন হয়েছে। এসব খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, আফ্রিকার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হ'ত্যার প্র'তি'বাদে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক শহরে বি'ক্ষো'ভ ছ'ড়িয়ে পড়ছে। 

লাখ লাখ মানুষ ঘর ছে'ড়ে বেরিয়ে এসে বিচার দা'বি করছেন। এ ক্ষেত্রে কৃষ্ণাঙ্গ বা শ্বেতাঙ্গ কোনো ভে'দাভে'দ নেই। আগের দিন বি'ক্ষু'ব্ধ জনতা ব্যাপক অ'গ্নিসং'যোগ করে। এ নিয়ে প্রশাসনে, রাজনীতিতে তো'লপা'ড় হয়। এরই মধ্যে মিনিয়োপোলিসের সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাউভিনকে গ্রে'প্তার করা হয়েছে। তার বিরু'দ্ধে নির'স্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে তাদের হে'ফা'জতে হ'ত্যার অ'ভি'যোগ আনা হয়েছে। 

জর্জ ফ্লয়েডকে গত সোমবার যখন একটি গাড়ির পাশেই হাঁটু গেঁ'ড়ে দিয়ে তিন পুলিশ সদস্য মাটির সঙ্গে স'জো'রে চে'পে ধ'রে, তার মধ্যে শ্বেতাঙ্গ এই পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখা গেছে ফু'টেজে। এরই মধ্যে তিনি ও অন্য তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বর'খা'স্ত করা হয়েছে। 

ডেরেক চাউভিনকে মিনিয়াপোলিসের আদালতে উপস্থিত করার কথা রয়েছে। ওদিকে প্রথমদিকে জর্জ ফ্লয়েডকে নি'র্যা'তনের যে ভি'ডিও ফু'টে'জ প্র'কাশ করা হয়েছিল, অন্য পাশ থেকে তো'লা আরেকটি ভি'ডিও ফু'টে'জ প্র'কাশ পেয়েছে মিডিয়ায়। এসব ঘ'টনাকে অত্য'ন্ত ভ'য়াব'হ বলে উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ফ্লয়েড পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউজের বাইরে সমবেত হয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্লো'গান দিতে থাকেন। তারা সমস্বরে বলতে থাকেন- ‘আই ক্যান্ট ব্রি'থ’। অর্থাৎ আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। এই শব্দ কয়টি জর্জ ফ্লয়েডের উচ্চারণ করা শেষ শব্দ। একই কথা ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্কে বলেছিলেন আরেক কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গারনার। তিনিও পুলিশি নি'র্যা'তনে মা'রা গিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউজ অস্থায়ীভিত্তিতে রয়েছে লকডাউনে। সব প্রবেশদ্বার ও বহির্গমন পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইউএস সি'ক্রে'ট সা'র্ভিস। 

শুক্রবার ও শনিবার রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কার'ফিউ জা'রি করা হয়েছে মিনিয়াপোলিস-সেইন্ট পলের টুইন সিটিতে। কিন্তু কার'ফিউ ক'র্যকর হওয়ার পরও বি'ক্ষো'ভের খবর পাওয়া গেছে। 

পরে বি'ক্ষো'ভকারীরা বিভিন্ন ভবন ও যানবাহনে আগু'ন ধ'রিয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন শহরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সং'ঘ'র্ষ হয়েছে। আটলান্টায় বিভিন্ন ভবনে ভা'ঙচু'র করা হয়েছে। পুলিশের গাড়িতে আ'গুন দেয়া হয়েছে। ডালাসে বি'ক্ষো'ভকারীরা ইটপাথর নি'ক্ষে'প করার পর তাদের দিকে কাঁ'দানে গ্যা'সের ক্যানিস্টার ছু'ড়ে'ছে পুলিশ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে