আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে সংখ্যাল'ঘু হিন্দু ও খ্রিশ্চান মেয়েদের ধর্মা'ন্তকরণের ঘটনা ক্র'মশই বাড়ছে। এমনটাই রিপো'র্ট দিয়েছে সেদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অ'ভিযো'গ, এই বিষয়ে সবকিছু জানা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না রাজনৈতিক নেতারা ও প্রশাসন।
ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক দুনিয়ার একটি নামী পত্রিকা দ্য স্পেক্টাটর (The Spectator) সম্প্রতি পাকিস্তানে সংখ্যাল'ঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে পাকিস্তানের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকেই হা'তিয়ার করেছে তারা।
আর তার ভিত্তিতে উল্লেখ করেছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী একজন নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার র'ক্ষার বিষয়ে একটি রাষ্ট্রের যে কর্তব্য হওয়া উচিত। পাকিস্তান তাতে গুরুত্ব দেয় না। কোনও নির্দে'শই সেখানে মানা হয় না। পাকিস্তানে ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় হিং'সার ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর প্রচুর খ্রিশ্চান ও হিন্দু মেয়েকে অ'পহ'রণের পরে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মা'ন্তরিত করা হয়। তারপর মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরুষদের সঙ্গে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিষয়ে সবকিছু জানা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয় না ইমরানের প্রশাসন। পাকিস্তানের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতারাও আড়া'ল থেকে উস'কানি দিয়ে অমুসলিম নাগরিকদের জীবন দুর্বি'সহ করে তোলে। গত সপ্তাহেই চার জন হিন্দু ও তিনজন খ্রিশ্চান মেয়ে জো'র করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর কমপক্ষে হাজার জন অমুসলিম মেয়ে জো'র করে ধর্মা'ন্তকরণ করানো হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সিন্ধু প্রদেশের হিন্দু পরিবারের নাবালিকা। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন