বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০, ১০:০৭:৩৭

ভারত-চীন যু'দ্ধ বাঁ'ধলে যে দেশকে এগিয়ে রাখলেন বিশেষজ্ঞরা

ভারত-চীন যু'দ্ধ বাঁ'ধলে যে দেশকে এগিয়ে রাখলেন বিশেষজ্ঞরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ‘যু'দ্ধ বাঁ'ধলে চীন নয়, ভারতের পাল্লাই ভারী থাকবে’। সেখানে কয়েকটি যুক্তি তুলে ধ'রা হয়েছে।তবে গণমাধ্যমটির উল্লেখিত তথ্যে চীনের সামরিক শক্তিই বেশি দেখানো হয়েছে। এদিকে, কিছু দিন যাবৎ ভারত-চীন সীমান্তে উত্ত'প্ত হচ্ছিল প'রিস্থিতি। মঙ্গলবার রাতে যা চূ'ড়ান্তে পৌঁছায়। ২০জন ভারতীয় সেনা নিহ'ত হয়েছেন। অনেকেই আ'হত। কাঁটা লাগানো লোহার রড দিয়ে হা'মলা চা'লানো হয় বলে অভি'যোগ ভারতীয় সেনাবাহিনীর।

মঙ্গলবার রাত থেকেই লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় ভারত চীন সংঘা'ত চ'রমে পৌঁছায়। পা'ল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। চীনেরও ৪৩ জন সেনা ভারতের পাল্টা জবাবে নিহ'ত এবং আহ'ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই। এই সবের ফলে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে যু'দ্ধ প'রিস্থিতি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যু'দ্ধ শুরু হলে ক্ষমতা ও শক্তির নিরিখে কোন দেশকে এগিয়ে রাখা যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা দিক খতিয়ে দেখে, তাঁরা ভারতেকেই এগিয়ে রাখছেন চীনের থেকে। মার্কিন ওয়েবসাইট CNN-এর দাবি শেষবার যখন ভারত-চীন মু'খোমুখি হয়েছিল, তখন থেকে বদলেছে প'রিস্থিতি। ধীরে ধীরে অনেকটা শক্তি বাড়িয়ে ভারত। দুই দেশের ক্ষমতার মূল্যায়ন করলে কী দাঁড়ায়, দেখে নেওয়া যাক।

পারমাণু শক্তি-- বিশ্বের কোনও দেশই চায় না একে অপরের বিরু'দ্ধে পরমাণু অ'স্ত্র ব্যবহার করতে। ভারত ও চীনের ক্ষেত্রেও তাই। তবে জানিয়ে রাখা যাক যে, দুই দেশের হাতেই এই ক্ষমতা রয়েছে। ১৯৬৪-এ পারমাণবিক ক্ষমতাশীল দেশ হয় চীন। তবে ভারত সেই ক্ষমতার অধিকরী হয় ১৯৭৪ (১০ বছর পরে)। -স্টকহোম ইন্টারন্যাশনল পিসের রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছর ভারতের হাতে আরও ১০টি পারমাণবিক অ'স্ত্র এসেছে। -চীনের মোট ৩২০ পারমাণবিক অ'স্ত্র রয়েছে, ভারতের ক্ষেত্রে তা ১৫০টি।

সামরিক ক্ষমতা-
চীনের ২৭০টি ফাইটার জেট রয়েছে। ভারতের মাটিতে হা'মলা চালানোর জন্য ৬৮টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। এই বছর মার্চে বেলফার রিপোর্টে প্রকাশিত খবর যে, চীনা সীমান্তে ভারতীয় এয়ারবেসের সংখ্যা বহু। যার থেকে সহজেই আ'ক্রমণ চালানো যাবে। চীনা বিমানবাহিনীর ৮টি এয়ারবেস রয়েছে সীমান্তে। কিন্তু এগুলি মূলত অসামরিক এয়ারফিল্ডে অবস্থিত। সেখান থেকে হামলা চালানো কিছুটা মুশকিল।
তিব্বত ও জিয়াংয়ং এয়ারবেস অনেকটা উঁচুতে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য চীনা বিমান বেশি অ'স্ত্র নিয়ে উড়তে সক্ষম নয়।
বেলফার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতের মিরাজ ২০০০ বা সু ৩০ সব সময়, সব আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম। কিন্তু চীনের জেট জে ১০ সেটা পারে না।

সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে ভারত অনেকটা এগিয়ে। বলা হচ্ছে যে চীনের যু'দ্ধের স্মৃতি বহু পুরোন। শেষবার ১৯৭৯-এ ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যু'দ্ধে সামিল হয়েছিল চীন যাতে তারা হারে। অন্যদিকে কাশ্মীরে প্রতিনিয়ত পাক সেনার বিরু'দ্ধে ল'ড়ে চলেছে ভারতীয় বাহিনী। কার্গিলের স্মৃতিও টাটকা। তাই অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে ভারত।

তিব্বত ও LAC-তে ভারতের বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ২২৫০০০। অন্যদিকে চীনে ক্ষেত্রে সেটা ২০০০০০ থেকে ২৩০০০০। এই সংখ্যাটা খুব সহজে বাড়িয়ে ফেলতে পারে চীন। কিন্তু খারাপ রাস্তার ফলে খুব সহজে চীন এই কাজটা করতে পারবে না। এমনকি অবস্থানগত সুবিধার জন্য তিব্বত সংলগ্ন রেলপথ উড়িয়ে দিতে পারে ভারত, যার ফলে খুবই সমস্যায় পড়তে পারে চীনের। সূত্র : নিউজ এইটটিন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে