উপযুক্ত লোক পাওয়া যাচ্ছে না মন্ত্রিসভায়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের একটি রদবদল করা হবে। কিন্তু সমস্যা হল বড় দায়ত্ব নেয়ার মতো লোকই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তাহলে কি ভাবে নতুন করে সাজানো হবে এই মন্ত্রিসভায়? এ বিষয়টি নিয়ে যেন খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার বিধানসভার ভোটে বিপর্যয়ের পর মোদি-ম্যাজিক প্রায় ফিকে হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কড়া হাতে প্রশাসনের রাশ না ধরলে হাল ফেরানো যে কঠিন তা বুঝতে পারছেন মোদি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলিতে রদবদল করলে, সেই সব জায়গায় কাদের আনবেন তা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
'আচ্ছে দিন আ গয়ে হ্যায়।' ক্ষমতায় এসে এটাই ছিল মোদি সরকারের স্লোগান। কিন্তু প্রায় ২ বছর পর কোথায় 'আচ্ছে দিন', তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথমে দিল্লিতে কেজরিওয়াল, তারপর গত নভেম্বরে বিহারে লালু-নীতীশ মহাজোটের কাছে মহা হার। মোদি-জমানার ক্যারিশমা যে নিম্নমুখী, তা মানতে বাধ্য অতি বড় মোদি-ভক্তও। অর্থনীতির হাল ফেরেনি, চাকরির বাজারও বেহাল দশা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অসহিষ্ণুতা নিয়ে অসন্তোষ। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভায় কিছুটা রদবদল করে হাল ফেরাতে চাইছেন মোদি। ভালো কাজ দেখাতে না পারলে মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল যে আসন্ন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে রাজধানীতে। কিন্তু সব সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নিজেই নেবেন। সমস্যা হল, বিজেপি-তে ভালো কাজের লোক খুঁজে পাচ্ছে না মোদি। যেমন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলিকে নিয়ে আসার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে জেটলির হাতে থাকা অর্থমন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব কাকে দেবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। সুষমা স্বরাজকেও বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী থেকে সরিয়ে ঘরোয়া কোনও মন্ত্রীত্বে নিয়ে আসা হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গডকড়িকে কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে আপত্তিজনক মন্তব্য করায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে গিরিরাজ সিং ও নিরঞ্জন জ্যোতিকে সরানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে নতুন করে কোনও বিতর্কে তার সরকার জড়িয়ে পড়ুক, তা মোটেও চাইছেন না মোদি। ২০১৯-এ পরের লোকসভা ভোটের আগে হাতে অনেকটাই সময় পাচ্ছেন মোদি। কিন্তু তার আগেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ভোট রয়েছে। ২০১৬-য় পশ্চিমবঙ্গ ও ২০১৭-য় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদি। এই অবস্থায় নতুন বছরে কোন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে নতুন কে আসেন, তা নিয়েই জল্পনা এখন রাজধানীতে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�