বুধবার, ০১ জুলাই, ২০২০, ১১:২৭:১৭

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা টেস্টের নামে প্র'তারণা

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা টেস্টের নামে প্র'তারণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্ত সংস্থা এফবিআই করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্টের ভু'য়া বিজ্ঞাপনের বিষয়ে সতর্ক করেছে। সংস্থাটি বলেছে, এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে প্রতারক চক্র জা'লিয়াতির মাধ্যমে স্বাস্থ্য বীমার টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে পারে।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব প্র'তারক চক্র অনলাইনে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অথবা মেইলের মাধ্যমে ভু'য়া বা অননুমোদিত অ্যান্টিবডি টেস্টের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বলে শুক্রবার ওই সতর্কবার্তায় এফবিআই জানিয়েছে। প্র'তারকরা দাবি করতে পারে, তাদের ওই টেস্ট যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদিত। বিনা পয়সায় বা কম খরচে টেস্টের প্র'লোভন তারা দেখাতে পারে।

কেউ পরীক্ষা করালে ভু'য়া ফলও তারা পাঠাতে পারে। যারা অ্যান্টিবডি টেস্ট করাতে চাইছেন, তাদের কেবল খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদিত টেস্টিং কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে এফবিআই।

আর বাসায় কোনো অ্যান্টিবডি টেস্ট করানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। পরিচিত বা বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্য কাউকে ব্যক্তিগত বা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য না দিতেও সতর্ক করেছে এফবিআই।

পাশাপাশি মেডিকেল বিল পরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ দিয়ে সেখানে সন্দেহজনক কিছু থাকলে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানকে তা জানাতে বলা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, এ ধরনের প্র'তারকরা অনেক সময় ফোন করে বলে যে তারা অ্যান্টিবডি টেস্ট করানোর বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। এমনকি ওই টেস্ট করার জন্য তারা টাকাও সাধতে পারে।

এ ধরনের ফোন কলে তারা ব্যক্তির নাম, জন্ম তারিখ, সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর এবং স্বাস্থ্যবীমার তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছিল, প্রতারকরা কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কথা বলেও তথ্য চুরির চেষ্টা করছে। আর জুনের শুরুতে সরকারের কোভিড-১৯ প্রণোদনার অর্থ পাইয়ে দেয়ার নামে জালিয়াতির বিষয়ে সতর্ক করেছিল রাজস্ব বিভাগ।

এদিকে, করোনার বিরু'দ্ধে সম্মুখযো'দ্ধা কর্মী ও অংশীদারদের ‘থ্যাংকস ভাতা’ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে অ্যামাজন। সোমবার এক ব্লগ পোস্টে জানানো হয়, যারা জুন মাসজুড়ে অ্যামাজনের সঙ্গে ছিলেন তারা ১৫০ ডলার থেকে তিন হাজার ডলার পর্যন্ত বোনাস পাবেন।

কর্মীদের এককালীন এ বোনাস দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম এ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বলছে, কোভিড মো'কাবেলায় তারা তাদের ব্যবসা নিরাপদ করতে অন্তত দেড়শ’ ধরনের কৌশল পরিবর্তন করেছে। এজন্যে তাদের খরচ হয়েছে ৬০ কোটি ডলার এবং এর ফলে আয় হবে ৪০০ কোটি ডলার।
উত্তর আমেরিকায় অ্যামাজন কোভিড প'রিস্থিতিতে ঘরে ঘরে পণ্য পৌঁছে দিতে ১১০টি ওয়্যারহাউসের ব্যবস্থা করে যেখান থেকে ৪ লাখ কর্মী লকডাউনের মধ্যেও তাদের কাজ অব্যাহত রাখে। অন্তত ১০ অ্যামাজন কর্মী কোভিডে আক্রা'ন্ত হওয়ার পর মা'রা যায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে