ইরানের রকেটে ক্ষিপ্ত আমেরিকা, প্রতিশোধে নতুন কৌশল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও গত অক্টোবর ও নভেম্বরে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে ইরান। এতে দেশটির ওপর আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে সহায়তার অভিযোগে ইরান, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১২ কোম্পানি ও ব্যক্তিকে টার্গেট করা হবে।
পরমাণু বোমা তৈরির একমাত্র উদ্দেশ্যই ওই পরীক্ষা চালানো হয় বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ইরান বলছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অপর পাঁচটি বিশ্বশক্তির সাথে ইরানের পরমাণু চুক্তি অনুসারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুযোগ নেই।
এদিকে তিনটি পশ্চিমা যুদ্ধজাহাজের কাছে ইরানি নৌবাহিনী বেশ কয়েকটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। পারস্য উপসাগরে গত সপ্তাহে ওই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেন, কোনো রণতরীকে লক্ষ্য করে ওই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়নি। রকেট উৎক্ষেপণের বিষয়ে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানের প্রায় ১৫০০ মিটার দূরে একটি রকেট আঘাত হানে।
রণতরীটি হরমুজ প্রণালীতে অবস্থান করছে। একই এলাকায় ফরাসি ফ্রিগেট ও ইউএসএস বাল্কেলে ডেস্ট্রয়ার জাহাজও অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৬ ডিসেম্বর ওই রকেট উৎক্ষেপণের ঘটনা ঘটে। এর আগে ইরানি বাহিনীর পক্ষ থেকে পরীক্ষামূলক রকেট উৎক্ষেপণের ঘোষণা ও এ সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করা হয়।
পারস্য উপসাগর কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ তেল এখান থেকে পরিবাহিত হয়। এখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে অতীতে উত্তেজনা ছিল। ১৯৮৮ সালে একদিনের যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় দেশ দুটি। সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, এনবিসি নিউজ
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�