বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:২০:০৮

বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রেসিডেন্ট যিনি

বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রেসিডেন্ট যিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর সবচেয়ে গ্লামর প্রেসিডেন্ট তিনি। ইতিমধ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই রাষ্ট্রনেতার ছবি। তার রূপের জাদুতে শুধু দেশবাসীই নয়, মজেছেন গোটা বিশ্ব। তার এই আকর্ষণীয় রূপের সুবাদে প্রথম থেকেই আলোকচিত্রীদের লেন্স সব সময় তাকে খুঁজে বেড়ায়। তিনি ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কলিন্ডা গ্রাবার-কিতারোভিচ। টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ক্রোয়েশিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রথম মহিলা তথা দেশের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন কলিন্ডা গ্রাবার-কিতারোভিচ। সময় নষ্ট না করে পরের দিন থেকেই নিজের কার্যভার সামলাতে শুরু করে দেন জনপ্রিয় এই নেত্রী। তার এই রূপের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে আলোকচিত্রীদের লেন্স সব সময় পিছু লেগে আছে। সম্প্রতি কলিন্ডার কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তুলেছে। অনেকের মতে, বিশ্বে এমন রূপসী এবং আবেদনময়ী রাষ্ট্রনেতা এ যাবত দেখা যায়নি। তবে সৈকতাবাসে অবসর যাপনের সময় প্রেসিডেন্টের লাস্যময়ী রূপ ঠিক কবে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল, সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত সঠিক তথ্য জানা যায় নি। ১৯৯৬ সালে জ্যাকভ কিতারোভিচের সঙ্গে বিয়ে হয় কলিন্ডা গ্রাবারের। তাদের দুই সন্তান, মেয়ে ক্যাটারিনা (১৪) এবং ছেলে ল্যুকা (১২)। কলিন্ডা ক্রোয়েশিয়ান ছাড়াও ইংরেজি, স্প্যানিশ ও পর্তুগীজ ভাষায় দুরস্ত কথা বলতে পারে। এছাড়া জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইতালিয়ান ভাষা তিনি বুঝতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদনপূর্ণ রূপসী প্রেসিডেন্টের ছবি প্রকাশিত হতেই অভিনন্দন ও প্রশংসার ঝড় বয়ে গিয়েছে। কারও কারও অভিমত, দেশের সর্বোচ্চ পদে বসার আগেই এই ছবিগুলি তোলা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট নিজে অবশ্য এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেব-এ এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে মানবাধিকার সংগঠনের এক নেতা পোশাকের নিয়ন্ত্রণ হারান। মঞ্চের উপর ফোটো সেশন চলাকালীন প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ক্রোয়েশিয়ান হেলসিঙ্কি মানবাধিকার কমিটির নেতা আইভ্যান জোনিমির সিক্যাক-এর প্যান্ট খুলে যায় এবং তার জেরে তিনি যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েন। নিন্দুকরা অবশ্য টিপ্পনি কাটছেন, সুন্দরী কলিন্ডার উপস্থিতিই এই পোশাক বিভ্রাটের কারণ। বলা বাহুল্য, এ ঘটনার পরেও প্রেসিডেন্টের মুখে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এই ঘটনা সম্পর্কে টুইটারে নানা মজাদার মন্তব্য দেখা গিয়েছে। সেই সব মন্তব্য পড়লে প্রেসিডেন্ট গ্রাবার-কিতারোভিচ হয়তো হেসে গড়িয়ে পড়বেন। তবে সরকারি ভাবে এ সম্পর্কে তিনি নির্লিপ্ত। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে