রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০, ০৭:০৮:০২

করোনার মাঝেই হা'না দিল আরেক ভ'য়ঙ্কর রোগ কাওয়াসাকি

করোনার মাঝেই হা'না দিল আরেক ভ'য়ঙ্কর রোগ কাওয়াসাকি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে শিশুদের শরীরেও হা'না দিয়েছে করোনা সং'ক্রমণ। তবে অনেক শিশুদের মধ্যেই আবার যে উপসর্গ প্র'কট হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর কাওয়াসাকি রোগের লক্ষণের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। সম্প্রতি, মুম্বই ও দিল্লির একাধিক হাসপাতাল এই কাওয়াসাকি রোগের উপসর্গের কথা জানিয়েছে।

দিল্লির ফর্টিস শালিমার বাগের পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের প্রধান অরবিন্দ কুমার জানান, কাওয়াসাকি রোগ মোটেও নতুন নয়। এর আগেও কাওয়াসাকি রোগে আক্রা'ন্ত শিশুদের চিকিৎসা করেছি আমরা। তবে যেখানে ছয় মাসের মধ্যে মাত্র ২-৩জন এই রোগে আক্রা'ন্ত হতে, বর্তমানে এই রোগে আক্রা'ন্তের সংখ্যা বহু বেড়ে গিয়েছে। এর কারণ সম্ভবত, জনজীবনে করোনা সং'ক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটছে।

কাওয়াসাকি রোগ কি?
এই রোগের উৎপত্তি এখনো অজ্ঞাত। মনে করা হয়, বেশ কিছু ভাইরাস এই রোগের সং'ক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই রোগ প্রথমে পর্যবেক্ষণ করেন চিকিৎসক টমিসকু কাওয়াসাকি। শুধু শিশুদেরই নয়, এই রোগ ১০-১৫ বছরের কিশোরদেরও হতে পারে। তবে মূলত, ৫ বছর কম বয়সিরা এতে বেশি আক্রা'ন্ত হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক রোগে আক্রা'ন্তের সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়।

কাওয়াসাকি রোগের উপসর্গ
কাওয়াসাকি রোগে আক্রা'ন্ত শিশুদের প্রচন্ড জ্বর, ভেজা ভেজা চোখ, ঠোঁ'ট লাল হয়ে যাওয়া, জিভের উপরিভাগ লাল এবং অমসৃণ হয়ে থাকে।অনেকের আবার হাঁটু, গোড়ালি সহ শরীরের সমস্ত জয়েন্টে যন্ত্রণা হতে থাকে। পায়ে ব্যথা হয়।

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, বিনা চিকিৎসায় প্রায় ১০ দিন অতিক্রা'ন্ত হলে তা হৃদপিণ্ডেরও ক্ষতি করে থাকে। হৃদপিণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করোনারি শিরায় ছো'বল দেয় এই রোগ। এই রোগ শিশুদের ৩ অথবা ৪ নম্বর দিনেই ধ'রা পড়ে যায় বর্তমানে। চিকিৎসকরা বলছেন, যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, ততই ভাল। সময় গড়িয়ে গেলে প'রিস্থিতি জ'টিল হয়ে পড়ে।

চিকিৎসা
শিরা পথে উচ্চমাত্রায় ইমিনোগ্লোবিউলিন এর একটি ডোজ এবং অ্যাসপিরিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। এই চিকিৎসা তীব্র সং'ক্রমন বা প্রদাহ খুব দ্রুত কমিয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন চিকিৎসার একটি অপরিহার্য অংশ যা হৃৎপিন্ডে রক্তনালীর জটিলতা কমাতে সমর্থ। যদিও এটা খুব ব্যায়বহুল কিন্তু একই এটাই কার্যকরী চিকিৎসা।

কোভিডের সাথে কাওয়াসাকির সম্পর্ক
চিকিৎসক কুমার বলছেন, বেশ কিছু শিশু যারা করোনায় আক্রা'ন্ত হয়েছে, তাদের এই রোগের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। এই শিশুদের উচ্চ জ্বর হচ্ছিল, এবং তা কমছিলই না। পাশাপাশি চোখ লাল হয়ে যাওয়া, বমি, হাতে, পায়ে যন্ত্রনা। কোভিড সং'ক্রমণ এদের অসুস্থতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

চিকিৎসক আরো জানান, একবার কাওয়াসাকি রোগ নির্ণয় ধরা পড়লে দেখতে হবে সেই শিশু করোনায় আক্রা'ন্ত কিনা। দুভাবে দেখতে হবে- সোয়াব টেস্টে অনেক ক্ষেত্রেই বারবার পরীক্ষার পরে রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। আরেক বিষয় হল, এন্টিবডি টেস্ট করতে হবে।-ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে