মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০, ১০:১২:৩৮

বংশপদবি ‘চুতিয়া’ নিয়ে চ'রম বিপা'কে তরুণী

বংশপদবি ‘চুতিয়া’ নিয়ে চ'রম বিপা'কে তরুণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বংশপদবি নিয়ে বিপা'কে পড়েছেন এক তরুণী। যতবারই চাকরির ফরমে নাম উঠাচ্ছেন দেখাচ্ছে তার নামটি প্রচলিত একটি গালি। আর এ কারণেই তিনি অভি'যোগও করেছেন। ‘চুতিয়া’ শব্দ নিয়ে চ'রম বেকায়দায় পড়েছেন আসামের চাকরিপ্রার্থী এক তরুণী। আবেদনে যতবারই নিজের পদবি লিখছেন, অনলাইনে ‘সতর্ক’ করে বলা হচ্ছে- অশালীন ভাষা ব্যবহার করা চলবে না!

নিজের পদবি অনলাইনে লিখতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে চাকরির আবেদন করতেই পারেননি ওই তরুণী। শুধু পদবির কারণে চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়ে ফেসবুকে ক্ষো'ভ প্রকাশ করেন ধেমাজি জেলার গোগামুখের তরুণী প্রিয়াঙ্কা চুতিয়া।

আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও  খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমএ করা প্রিয়াঙ্কার অভি'যোগ, রাষ্ট্রীয় বীজ কর্পোরেশন লিমিটেডের চাকরির পরীক্ষায় অনলাইনে আবেদন করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও আবেদন জমা দিতে পারিনি। আবেদনের সময় প্রতিবার সতর্ক করে বলা হয়েছে, অশ্লী'ল শব্দ লেখা যাবে না।

আসামের ছয় জনগোষ্ঠীর একটি চুতিয়া। বাকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে মরান, মটক, তাই, আহোম ও কোচ রাজবংশী। পদবির মতো সামান্য কারণে চাকরির প্রথম ধাপ, মানে আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষো'ভ প্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা। আসাম-কন্যা একা নন, প্রিয়াঙ্কার এই দুর্ভোগের কথা জানতে পরে তার পাশে দাঁড়িয়েছে চুতিয়া গোষ্ঠী।

বিষয়টি নিয়ে প্রিয়াঙ্কা রাষ্ট্রীয় বীজ কর্পোরেশন লিমিটেডের কাছে অভি'যোগ করেছেন। তাদের বক্তব্য, এটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ঘটেছে। অভি'যোগ পাওয়ার পর তা ঠিক করে নেয়া হয়েছে।

চুতিয়া সংগঠনগুলো এ ঘটনার প্রতি'বাদ জানিয়ে বলেছে, ২০১২ সালেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অনেক চুতিয়া পদধারীর অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়া হয়েছিল। আসামের জাতিগোষ্ঠীকে এভাবে বারবার অপমান করে নানা দিক থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সূত্র: আসামনিউজ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে