শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০, ০৫:৫০:৪৫

দুই জনের প্রেমিক এক, এক দড়িতেই দুই বান্ধবীর গলায় ফাঁ'স দিয়ে আ'ত্মহ'ত্যা!

দুই জনের প্রেমিক এক, এক দড়িতেই দুই বান্ধবীর গলায় ফাঁ'স দিয়ে আ'ত্মহ'ত্যা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটা দড়ি দিয়েই ঘরের মধ্যে দুটি বাঁশের খুঁ'টিতে ঝু'লছে দুই বান্ধবী। এই চা'ঞ্চ'ল্যকর ঘ'টনাটি ঘ'টেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার হাঁসখালি থানার বেনালী এলাকার কানাই কলোনিতে। অ'ন্তর'ঙ্গ বললেও কম বলা হবে, পপিতা বিশ্বাস এবং রিয়া বিশ্বাস এরা দুজনে ছিল এক আ'ত্মা এক প্রাণ। 

চব্বিশটি ঘন্টা এরা একসঙ্গে থাকত। খাওয়াদাওয়া চলাফেরা সবকিছুই ছিল একসঙ্গে। শুধুমাত্র রাতে যে যার বাড়ি ঘুমোতে যেত। রিয়া বিশ্বাস (২৩), তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। বগুলা কলেজে পাঠরত। আর পপিতা বিশ্বাস (১৯), উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন এই বছর। আগামিকাল অর্থাৎ ১৭ জুলাই ফল বেরতো তাঁর। পপিতার বাড়িতে একসঙ্গে দুজনের দেহ মি'লেছে।

পুলিশের প্রাথমিক অ'নুমান আ'ত্মহ'ত্যা। দুজনের কাছ ছেতে সু'ইসা'ইড নো'ট মিলেছে। রিয়া বিশ্বাস চার পাতার সু'ইসা'ইড নোটে জীবনের নানা কথা লিখে গেছেন। একটু বে'পরো'য়া মনোভাবের রিয়া। বাড়ির সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝামে'লা হ'ত বলে জানা যায়। সু'ইসা'ইড নো'টের শেষ বাক্যে লিখেছে নানাকারণে জীবন অ'তি'ষ্ঠ হয়ে উঠেছে তাই আ'ত্মহ'ত্যার পথ বে'ছে নিলাম।

আর পপিতার পরিবারের দা'বি, সু'ইসা'ইড নো'টে পরিবারের আর্থিক অন'ট'নের কথা উল্লেখ করে গিয়েছে ওদের মেয়ে। রিয়ার জীবন কেন অ'তি'ষ্ট হয়ে উ'ঠেছিল তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থাকলেও পপিতার পরিবারে সত্যি আর্থিক অ'ন'টন ছিল বলে জানাচ্ছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

পপিতার কাকিমা সুনীতা বিশ্বাস জানান, সু'ইসা'ইড নোটে পরিবারের আর্থিক অ'ন'টনের কথা উল্লেখ করে গিয়েছে। ওর বাবা ওড়িষাতে দিনমজুরের কাজ করে। বেশ কিছুদিন আগে ঘর করে বাজারে অনেক টাক ঋণ হয়ে যায়। যা নিয়ে সম্প্রতি সম'স্যাও তৈরি হয়েছিল। রিয়ার বাবা বাহরিনে থাকেন। সেখানে দিন মজুরের কাজ করেন। তবে তিন ভাইবোন আর মাকে নিয়ে অভাব ছিল না রিয়াদের।

জীবন অ'তি'ষ্ঠ হয়ে ওঠা আর পরিবারে আর্থিক অ'ন'টন রিয়া এবং পপিতার মৃ'ত্যুতে আপাতত এই ত'থ্য সামনে এলেও অন্য একটি ত'ত্ত্বও উঠে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদারা জানাচ্ছেন, এদের দুজনের প্রেমিক ছিল একই ব্যক্তি। গভীর বন্ধুত্ব আর প্রেমিক এটা দুজনের কাছে হয়ে উঠেছিল শাঁ'খের করা'ত। এই টা'নাপো'ড়েনেই আ'ত্মহ'ত্যা বলে দা'বি এলাকার মানুষের। তবে পুলিশের প্রাথমিক ত'দ'ন্তে অ'নুমান এটা আ'ত্মহ'ত্যা। কেন আ'ত্মহ'ত্যা করল সেই ত'দ'ন্তের জন্য সব পথ খো'লা রেখেই এগোতে চাইছে পুলিশ। সূত্র : জি নিউজ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে