শুক্রবার, ০১ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৩:০০:১৬

স্বপ্ন ফেরি করে ফেরারি হলেন যারা

স্বপ্ন ফেরি করে ফেরারি হলেন যারা

নিউজ ডেস্ক : স্বপ্ন ফেরি করে ফেরারি হয়েছেন অনেক গুণীজন। ২০১৫ সালে তারা আমাদের ছেড়ে চীরদিনের জন্য পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। সময়কে প্রোজ্বল করা তেমন কয়েকজন ভাস্বর স্মরণে আজকের এই আয়োজন : ১) সৌদি সংস্কারক : বছরের শুরুর দিকেই বিদায় জানালেন কঠোর রক্ষণশীল রাজতন্ত্রের দেশ সৌদি আরবে সংস্কারের পথিকৃত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ। ২৩ জানুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯০ বছর বয়সী আবদুল্লাহ। ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। সৎভাই বাদশাহ ফাহাদের মৃত্যুর পর ২০০৫ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন আবদুল্লাহ। তার মৃত্যুতে সিংহাসনের অধিপতি হন সালমান বিন আবদুল আজিজ। ২) স্বপ্নদর্শী রাষ্ট্রনায়ক : আধুনিক, উন্নত, পরিচ্ছন্ন, সবুজ সিঙ্গাপুরের রূপকার ও কর্মকার ছিলেন লি কুয়ান ইউ। চরকায় সুতো কেটে কেটে তাঁতী যেমন আপন মনে কাপড় বুনেন, সিঙ্গাপুরবাসীকে তেমনই স্বপ্ন বোনা শিখিয়েছিলেন লি। জীর্ণ, কাঙাল একটা পুঁচকে দ্বীপরাষ্ট্রকে তৃতীয় বিশ্ব থেকে বের করে প্রথম সারির বিশ্বসেরা রাষ্ট্র বানিয়েছিলেন তিনি। ২৩ মার্চ ৯১ বছর বয়সে থেমে যায় সেই স্বপ্নের চরকা। সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৩১ বছর (১৯৫৯-১৯৯০)। তার বড় ছেলে লি সিয়েন লং সিঙ্গাপুরের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। ৩) যে কথা বলতেই হবে : ইউরোপীয় সাহিত্যে ম্যাজিক রিয়ালিজমের স্রষ্টা জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের মৃত্যু এ বছরের অন্যতম বিয়োগান্তক ঘটনা। ১৩ এপ্রিল ৮৭ বছর বয়সে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার প্রথম উপন্যাস ‘দি টিন ড্রাম’-এর মধ্য দিয়েই আলোড়ন তোলেন সমকালীন বিশ্বসাহিত্যে। ১৯৯৯ সালে তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে সুইডিশ একাডেমি। গুন্টার গ্রাসের লেখনীতে উঠে আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানি এবং ইউরোপের জীবন আলেখ্য। তিনি ছিলেন চরম নাৎসিবিরোধী। যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ আর ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন গ্রাস। ইসরাইলের সমালোচনায় ‘হোয়াট মাস্ট বি সেইড (যে কথা বলতেই হবে)’ শিরোনামে একটি কবিতা লেখায় ২০১২ সালে তাকে নিজের দেশেও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়। ৪) ভারতের মিসাইলম্যান : বাবা ছিলেন নৌকার মাঝি। তিনিও বড় হয়ে মাঝি হলেন। কিন্তু সেটা বিজ্ঞানের মাঝি। তিনি ‘ভারতের মিসাইল ম্যান’খ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম। ১৯৯৮ সালে ভারতের প্রথম সফল পারমাণবিক পরীক্ষা পোখরান-২-এ তিনি ছিলেন মুখ্য অবদানকারী। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ১১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২৭ জুলাই মেঘালয়ের শিলংয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার সময় সবাইকে কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় ঢলে পড়েন। ৫) দীর্ঘমেয়াদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী : দীর্ঘ চার দশক ধরে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা প্রিন্স সউদ আল ফয়সাল ৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর দুই মাস আগে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অসুস্থতার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার শরীরে বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচার করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে