আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের একটি সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরু'দ্ধে দায়িত্বে চর'ম গা'ফিলতির অভি'যোগ উঠেছে। এক রোগীর স্বজনেরা অভি'যোগ করেছেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা'রা যাওয়া তাদের আত্মীয় ম'রদেহ খুবলে খাচ্ছে কুকুর!
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক তদ'ন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও যে প্রশ্নটা উঠছে, হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে করোনা রোগীর মৃ'তদেহ এভাবে পড়ে থাকছে। অথচ কর্তৃপক্ষ কীভাবে এতটা উদাসীন হতে পারে? রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (আরআইএমএস) হাসপাতাল চত্বরের একটি শেড চালচুলোহীন দুস্থ, ভবঘুরেরা রাতের বেলায় আশ্রয় নেন। সেখানেই পড়েছিল কোভিড-১৯ আক্রা'ন্ত রোগীর ম'রদেহ।
সোমবার হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষী বিষয়টি প্রথমে খেয়াল করেন। দেখেন পথ কুকুররা একটি মৃ'তদেহ নিয়ে খাবলা-খাবলি করছে। তিনি লাঠি হাতে তাড়া করে কুকুরগুলোকে তাড়িয়ে দেন। ততক্ষণে অবশ্য মৃ'ত ব্যক্তির কানের একাংশ ছিঁ'ড়ে নিয়েছে কুকুর, থাবায় বিকৃ'ত হয় মুখের একাধিক অংশ। পরে বিষয়টি সামনে আসার পর মৃ'তের পরিবার ক্ষো'ভে ফেটে পড়েন। হাসপাতালে অভি'যোগের প্রেক্ষিতে তদ'ন্তও করে। কিন্তু, প্রাথমিক তদ'ন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কান্তা রাওকে হাসপাতালে ভর্তিই করা হয়নি।
এ বিষয়ে আরআইএমএস-এর সুপার ডাক্তার শ্রীরামুলু জানান, কান্তা রাও নামের ওই রোগীকে ৫ আগস্ট হাসপাতালে আনলেও তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। তবে, হাসপাতাল কেন কান্তা রাওকে ভর্তি নেয়নি বা কেন কোভিড-১৯ আক্রা'ন্ত একজন রোগীকে পাঁচ দিন বিনা চিকিৎসায় শেডের মধ্যে কাটাতে হলো— এ সব প্রশ্নের সদুত্তর সুপার দিতে পারেননি। সুপারের বক্তব্য, তদ'ন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্ধ্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা চন্দ্রবাবু নাইডু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভি'ডিও শেয়ার করেছেন। সরকারের বিরু'দ্ধে ব্যর্থতার অভি'যোগ তুলে বলেন, এই ঘটনায় মানবিক মর্যাদা ল'ঙ্ঘি'ত হয়েছে।