বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৩৭:৫৯

ক্যান্সার চিকিৎসায় বাঙালি বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী সাফল্য হৈ চৈ ফেলেছে আমেরিকায়

ক্যান্সার চিকিৎসায় বাঙালি বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী সাফল্য হৈ চৈ ফেলেছে আমেরিকায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অ'গ্নাশ'য় ক্যা'ন্সার চিকিৎসার জেনেটিক মডেল তৈরি করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাঙালি বিজ্ঞানী। ক্যান্সার চিকিৎসায় এ এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে অনিন্দ্য বাগচি। বর্তমানে থাকেন আমেরিকায়। অনুস'ন্ধা'নই তার জীবনের মূলমন্ত্র। 

সেই অনুস'ন্ধানের মান'সিকতাই আজ এক বিশাল কৃতিত্বের সামনে এনে ফেলেছে তাকে। অ'গ্নাশ'য় ক্যানসার চিকিৎসায় জেনে'টিক স্ট্রা'কচা'র আবিষ্কার করে ফেলেছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। অ'গ্নাশ'য় ক্যানসার এক মা'রণব্যা'ধী। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চিকিৎসকরা বলতেন, এই রোগের কার্যত কোনো চিকিৎসা নেই। তবে পরবর্তীকালে একটি হাইপোথিসিস তৈরি হয়েছিল এই রোগ নিয়ে। 

দী'র্ঘদিন ধ'রে সেই হাইপোথিসিসের উপর নির্ভর করেই রোগটির চিকিৎসা চলছিল। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার জেনেটিক্সের অধ্যাপক অনিন্দ্য বছর সাত-আট আগে স্যানফোর্ড ব্রুনহ্যাম প্রেবিস মেডিক্যাল ডিসকভারি ইনস্টিটিউটে নিজের ল্যাবে অ'গ্নাশ'য় ক্যা'ন'সার নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি দেখতে চাইছিলেন, যে হাইপোথিসিসের উপর দাঁড়িয়ে এ ধ'রনের ক্যান'সারের চিকিৎসা হয়, তা কতটা কার্যকর। 

বছর কয়েকের মধ্যেই অনিন্দ্য এবং তার সহকর্মীরা এক আশ্চর্য সত্যের মু'খোমু'খি হন। এতদিন ধরে যে হা'ইপো'থিসিসের উপর ভিত্তি করে অ'গ্নাশ'য় ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল, তা রো'গের উ'পশম তো করেই না বরং, উ'ল্টো ফল হতে পারে। শুধু অনিন্দ্য নন, তার সমস্ত সহযোগী এই আবিষ্কারে চ'মৎকৃ'ত হন।

দীর্ঘ প্রায় আট বছরের ক'ঠো'র পরিশ্রমের পরে শেষ পর্যন্ত অনিন্দ্য এবং তার দল একটি প্রোটিনের স'ন্ধা'ন পেয়েছেন, যা অ'গ্নাশ'য় ক্যান'সার উ'পস'মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। না, অনিন্দ্য কোনো ওষুধ আবিষ্কার করেননি। তিনি অ'গ্নাশ'য় ক্যা'নসা'র উ'পসমের একটি জেনেটিক মডেল তৈরি করেছেন। যা ব্যবহার করে তৈরি হতে পারে ওষুধ। এবং যার ব্যবহার শুরু হলে অ'গ্নাশ'য় ক্যানসারের চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।

পেশায় জেনেটিক্স বিজ্ঞানী অনিন্দ্য রাজনীতিতে বা'মপ'ন্থী। সেই স্কটিশ চার্চ কলেজে রসায়ন নিয়ে পড়ার সময় থেকেই তিনি বামপন্থী রাজনীতি এবং প্র'গতিশী'ল পড়াশোনায় উৎ'সা'হী। তার বিশ্বাস, ছোটবেলায় রাশিয়ার ভস্তক প্রকাশনার প্রগতিশীল বই তার হাতে না পড়লে আজ হয়তো বিজ্ঞানীই হয়ে উঠতে পারতেন না। বায়ো'কেমি'স্ট্রিতে স্নাতকোত্তর করেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তারপর পিএইচডি করেন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পোস্ট ডক্টরেট করেছেন নিউইয়র্কের একটি বিশ্ববিখ্যাত ল্যাবে।

২০১৪ সালে তার গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা স্থান পেয়েছিল নেচার পত্রিকায়। তবে ২০২০ সালে তার আবিষ্কার তাবৎ বিজ্ঞান বিশ্বে আলো'ড়ন ফেলে দিয়েছে। অনিন্দ্য অবশ্য মনে করেন, এটা তার একার কৃতিত্ব নয়, তার পুরো দলের। সকলে মিলেই এই গবেষণা করেছেন। বিশেষ করে তিনি বলতে চান আশুতোষ তিওয়ারির কথা। গোটা গবেষণা প্র'ক্রি'য়ায় আশুতোষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে অনিন্দ্য জানিয়েছেন।

অনিন্দ্যর এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। দিল্লির বিশিষ্ট চিকিৎসক পার্থপ্রতীম বসু জানিয়েছেন, অ'গ্নাশ'য় ক্যা'নসার এক অত্যন্ত জ'টিল রোগ। ১০ শতাংশ মানুষকে কিছু দিনের জন্য বাঁচানো যায়। নতুন এই আবিষ্কার বহু মানুষকে সুস্থ করতে সাহায্য করবে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে