আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজকে ইসরায়েলে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিভেন রিভলিন। আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের কূ'টনৈ'তিক সম্পর্ক স্থাপনের চু'ক্তির পর এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। শুক্রবার ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আনাদলু নিউজ।
খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আবধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ানকে ইহুদীবা'দী ওই রাষ্ট্রে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট রিভলিন এক টুইটবার্তায় বলেন, এই চু'ক্তি ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার মাইলফলক। আমি আশা করি আমাদের দুই দেশ ও জনগণের মাঝেও পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা আরও দৃঢ় হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই দেশের মাঝে কূ'টনৈ'তিক সম্পর্ক পু'নঃস্থা'পনে ঐতিহাসিক চু'ক্তি করে। এটি ইসরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় কোন আরব রাষ্ট্রের শান্তি চু'ক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চু'ক্তি করে।
চু'ক্তির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবীর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ''এই ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে। দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিনিময়ে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের বিশাল ফিলিস্তিনি এলাকা ইসরায়েলের অংশ করে নেয়ার কাজ আ'পাত'ত স্থ'গিত রাখবে।''
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ''এই ঐতিহাসিক কূটনৈতিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বয়ে আনবে। এই চু'ক্তি এমন একটি দলিল যা তিন নেতার সাহসী কূ'টনৈ'তিক দৃ'ষ্টিভ'ঙ্গি ও দূ'রদ'র্শিতার পরিচয় দেয় এবং এ অঞ্চলের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আরব আমিরাত ও ইসরায়েলকে নতুন পথের দিশা হবে।''
আগামীতে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি ফ্লাইট, নিরা'পত্তা, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সহ নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চু'ক্তি করার জন্য বৈঠকে বসবেন। ইসরায়েলের সঙ্গে এতদিন পর্যন্ত উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের কোন কূ'টনৈ'তিক সম্পর্ক নেই। তবে ওই অঞ্চলে ইরানের প্রভা'ব বাড়তে থাকায় উ'দ্বি'গ্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছিল।
চুক্তির পর ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে হিব্রুতে টুইটবার্তায় বলেন, ''আজ আমাদের এক ঐতিহাসিক দিন।'' যুক্তরাষ্ট্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা বলেছেন, ''এটি ঐ অঞ্চলে কূ'টনী'তির বিজয়। এর ফলে উত্তে'জনা কমবে এবং অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।''