হিন্দু রীতিতে বিয়ে, সৌদির বর-রাশিয়ার কনে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অনেকদিন ধরেই প্রেম করে আসছেন তারা। কিন্তু এবার প্রেমের শেষ পরিণতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছে তাদের। তবে কোন ধর্মমতে বিয়ে করবেন সেই ভাবনা শুরু হয় দুজনের। অবশেষে ভাবনার পরিসম্পাতি ঘটায় তাদেরই এক বন্ধু। ধর্ম ও সংস্কৃতির বেড়াজাল ভেঙে চিরাচরিত হিন্দু প্রথা মেনে গাঁটছড়া বাঁধলেন সৌদি যুবক ও তার রুশ প্রেমিকা। হিন্দু বিবাহ রীতি তাদের এতটাই ভালো লেগে গিয়েছিল যে তারা নিজেদের জন্য সাতপাকের বাঁধনকেই বেছে নেন। গুজরাটের সুরাতে তাদের বন্ধু কিষাণ ঢোলিয়া এই বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। এপিবি আনন্দের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
কয়েকদিন আগেই কিষাণের বিয়েতে যোগ দিতেই ভারতে এসেছিলেন সৌদি আরবের হামিদ আল-হামাদ এবং তার বান্ধবী জুলিয়ানা স্মিরনোফ। আর কিষাণের বিয়ের রীতি দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেনে, হিন্দু প্রথা মেনেই বিয়ে করবেন।
কিষাণের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, হামিদ ও জুলিয়ানা কিষাণের বিয়ের সমগ্র প্রক্রিয়া নিয়েই খুবই কৌতুহলী হয়ে উঠেছিলেন। ওরা প্রত্যেকটি প্রথার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাইছিলেন। সেই মতো ওদেরকে আমরা সব বিষয়ই ব্যাখ্যা করে বলেছিলাম। বৈদিক মন্ত্রের অর্থও ওদেরকে জানিয়ে বলেছিলাম, চিরস্থায়ী বৈবাহিক সম্পর্কের জন্যই এগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সব শুনেই ওরা হিন্দু প্রথা মেনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
হামিদ ইঞ্জিনিয়ার। জুলিয়ানা বস্ত্র ব্যবসায়ী। দুজনেই চীনে থাকেন। কিষাণ উচ্চ শিক্ষার জন্য চীনে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার সঙ্গে হামিদ ও জুলিয়ানার আলাপ। হামিদ বলেছেন, ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের নজর কেড়ে নিয়েছে। বহু বছরের প্রাচীন এই ঐতিহ্যকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। সে জন্যই আমি আর জুলিয়ানা এক কথায় হিন্দু প্রথা মেনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিয়েতে হামিদ শেরওয়ানি এবং জুলিয়ানা শাড়ি পরেছিলেন। জুলিয়ানা জানিয়েছেন, ভারতীয় পোশাক পরার স্বপ্ন ছিল তার। ভারী হলেও এই পোশাক সুন্দর। কিষান জানিয়েছেন, ওদের বোঝার সুবিধার জন্য মন্ত্রগুলিকেও ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিয়েছিলাম। এভাবে বিয়ে করে ওরা দুজনেই খুব খুশি।
১ জানুয়ারি, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�