বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৫৮:৩৫

এক বেলার সেনা বিদ্রোহে মালি দ'খল, বি'স্মিত গোটা বিশ্ব!

এক বেলার সেনা বিদ্রোহে মালি দ'খল, বি'স্মিত গোটা বিশ্ব!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক বেলার সেনা বিদ্রো'হ। তাতেই প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট বা'ধ্য হলেন সরকার ভে'ঙে দিতে। অচ'লাব'স্থা তৈরি হলো আফ্রিকার মালিতে। ক্ষ'মতা দ'খ'ল করেছে বিদ্রো'হী সেনারা। তবে এরপর কী ভাবে তারা সরকার গঠন করবে, তা এখনও স্প'ষ্ট নয়। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বহু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী মালির এই ঘ'টনার তী'ব্র নি'ন্দা করেছে। 

দ্রুত প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি দাবি করা হয়েছে। বিদ্রো'হী সেনাদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে ব্যা'রাকে। তবে পরি'স্থিতি যা, তাতে বিদ্রো'হী সেনারা সে কথায় কান দেবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার সকালে আচ'মকাই কাটির সেনা ছাউনিতে বি'দ্রো'হ শুরু হয়। অ'স্ত্র তুলে নেয় বি'দ্রো'হী সেনারা। প্রথমে তারা সেনা ছাউনির অফিসারদের আ'টক করে। এর পর ছাউনির বাইরে বেরিয়ে এসে একে একে সরকারি আধিকারিকদের আ'টক করা হয়। 

বি'দ্রো'হী সেনারা রাজধানী বামাকোর দিকে এগোতে থাকে। কাটি থেকে বামাকো প্রায় ১৫ কিলোমিটার। বিদ্রো'হী সেনারা যত এগিয়েছে ততই তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বিদ্রো'হী সেনারা যখন রাজধানীর দিকে মার্চ করছে, তখন বামাকোর সেন্ট্রাল স্কো'য়্যারে সাধারণ মানুষ সেনা বি'দ্রো'হের সমর্থনে জড়ো হতে শুরু করেন। এম ফাইভ আরএফপি বিক্ষো'ভকারীরাও তাতে অংশ নেন। বিদ্রো'হী সেনারা রাজধানীতে পৌঁছে ঘিরে ফেলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম কেইটার প্রাসাদ। 

প্রাসাদের বাইরে বেশ কয়েকবার আকাশে গু'লি ছোড়া হয়। তবে প্রেসিডেন্টের গা'র্ডরা পা'ল্টা আ'ক্র'মণ করেননি। কোনো কোনো বিশে'ষজ্ঞের বক্তব্য, বি'দ্রো'হী সেনাদের সংখ্যা এতটাই বেশি ছিল যে, প্রেসিডেন্ট বুঝতে পেরেছিলেন ল'ড়া'ই করে লাভ হবে না। প্রেসিডেন্ট অবশ্য বলেছেন, ক্ষ'মতায় থাকার জন্য র'ক্তপা'ত হোক, তা তিনি চাননি। সে জন্যই বিদ্রো'হীদের কাছে আ'ত্মসম'র্পন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বউবউ কিসেকেও একই ভাবে আ'টক করে বিদ্রো'হী সেনারা। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী দুই জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে কাটির সেনা ছাউনিতে।

একবেলার এই বিদ্রো'হের ফলে চ'র'ম অচ'লাবস্থা তৈরি হলো মালিতে। বিদ্রো'হী সেনারা কী ভাবে সরকার তৈরি করবে, কাকে মাথায় বসানো হবে, কিছুই এখনও স্প'ষ্ট নয়। তবে বিশে'ষ'জ্ঞদের বক্তব্য, এ ঘ'টনার জমি অনেক দিন ধ'রেই তৈরি হচ্ছিল। বস্তুত, এমফাইভ আরএসপি বিদ্রো'হীরা এর আগেও সরকারের বি'রু'দ্ধে লা'গাতার আ'ন্দো'লন চালিয়েছে। সরকারের সং'ঘ'র্ষে কিছু দিন আগে ১৪ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে। কয়েক মাস আগে যে প্র'ক্রি'য়ায় মালিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, তা নিয়েও মানুষের মধ্যে তু'মু'ল ক্ষো'ভ তৈরি হয়েছিল। 

অনেকেই বলেছেন, নির্বাচনের নামে প্র'হ'সন হয়েছে। বিশে'ষ'জ্ঞদের বক্তব্য, সেই সমস্ত ঘ'ট'নাই এ দিনের বি'দ্রো'হের পরি'ণাম বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, মালির ঘ'টনায় বি'স্মিত গোটা বিশ্ব। মঙ্গলবারই ঘ'টনার নি'ন্দা করেছে বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন এবং দেশ। আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়াপার্সন মওসা ফাকি মাহামাত টুইট করে ঘ'টনার নি'ন্দা করেছেন। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী দ্রুত মু'ক্তি দাবি করেছেন তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্টও বিদ্রো'হীদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। গোটা ঘ'টনার নি'ন্দা করে মালিতে স্থি'তাব'স্থা ফিরিয়ে আনার আ'র্জি জানিয়েছেন তিনি। ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস ঘ'টনার নি'ন্দা করেছে। মালিকে অনি'র্দিষ্ট কালের জন্য এই মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালির সঙ্গে অন্যান্য দেশের সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। মালিকে কোনো রকম সাহায্য করা হবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ, এক ধরনের ব্ল'কে'ড তৈরি করা হয়েছে। তবে এতে বিদ্রো'হীরা দ'মবে বলে মনে করা হচ্ছে না। সূত্র : ডয়চে ভেলে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে