মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:৫৮:৩৩

সীমান্তে মুখো'মুখি চীন-ভারতের ট্যাঙ্ক বাহি'নী, দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

সীমান্তে মুখো'মুখি চীন-ভারতের ট্যাঙ্ক বাহি'নী, দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আড়াই মাসেই পরি'স্থিতি ব'দলে গিয়েছে বিলকুল। তাই ১৯৬২ সালের যু'দ্ধের উদাহ'রণ তুলে ধ'রে ভারতকে 'শিক্ষা' দেওয়ার হু'মকি ছেড়ে চিন এখন নয়াদিল্লির বি'রু'দ্ধে ''সমঝোতা ভে'ঙে প্রকৃত নিয়'ন্ত্রণরেখা' (এলএসি) ল'ঙ্ঘ'নের অ'ভিযো'গ তুলছে! প্যাংগং লেকের দক্ষিণে চিনা বাহি'নীকে হ'টিয়ে 'অবস্থান' মজবুত করার পরে ভারতীয় সেনা আলোচনার টেবিলে দর ক'ষাক'ষিতে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গিয়েছে বলে মনে করছেন প্রতির'ক্ষা বিশেষ'জ্ঞদের একাংশ।

সেনা সূত্রের খবর, শনিবার রাত এবং রবিবার সকালে দফায় দফায় সং'ঘ'র্ষের পরে দু'তরফে আলোচনা শুরু হলেও এখনও উত্তে'জনা রয়েছে প্রবল। পিপলস লিবাবেশন আর্মি বিত'র্কিত এলাকায় আ'র্মা'র্ড রে'জিমে'ন্ট মোতায়েন করায় একই প'দক্ষে'প করেছে ভারতীয় সেনাও। বেশ কিছু এলাকায় দু'দেশের ট্যাঙ্ক বাহি'নী পরস্পরের নিশা'নায় রয়েছে। প্যাংগং পরি'স্থিতি পর্যালো'চনার জন্য মঙ্গলবার প্রতির'ক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। 

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরা'পত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এম এম নরভণে বৈঠকে হা'জির ছিলেন। এই আবহে মঙ্গলবার নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, ''চিনে সেনা সং'য'ত প্রতি'ক্রিয়া দেখিয়েছে। আমরা চাই, ভারতীয় সেনা উ'স্কা'নিমূলক আচরণ ব'ন্ধ করুক এবং বৈঠকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুক। ভারতীয় সেনা এলএসি ল'ঙ্ঘ'ন করার ফলেই এমন জ'টিল পরি'স্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে তা প্র'ত্যা'হার করা প্রয়োজন।''

অন্য দিকে, চিনের বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই একটি ফরাসি প্রতিষ্ঠান আয়োজিত বিদেশনীতি সং'ক্রা'ন্ত আলোচনা সভায় বলেছেন, ''ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সং'ক্রা'ন্ত বিবা'দ মেটাতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আ'পস করা হবে না।" সোমবার চুশুলে ব্রিগেডিয়ার স্তরের বৈঠকেও চিনের তরফে সেনা পিছনোর দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন দাবি? 

ওই সূত্রের জবাব, ২৯ আগস্ট রাতে সমঝোতা সূত্র ভে'ঙে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ভারতীয় এলাকায় ঢুকতে গিয়ে প্র'ব'ল প্রতিরো'ধের মুখে পড়ে পিছু হ'টে চিনা ফৌজ। সেই সুযোগে, চুশুল থেকে কয়েকটি দিকে চিন নিয়ন্ত্রিত এলাকার অন্দরে বেশ কয়েক কিলোমিটার ঢু'কে পড়েছে ভারতীয় সেনা। কালা টপের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাম'রিক ''স্ট্র্যা'টে'জিক পজি'শন'-সহ বেশ কিছু উঁচু গিরিশিরা এখন ভারতীয় সেনার দ'খলে। ফলে সুবিধাজনক অবস্থান থেকে সম্ভাব্য চিনা হা'ম'লার মো'কাবি'লা করা সম্ভব। আর সে কারণে চিন্তা বেড়েছে চিনের।

আলোচনার টেবিলেও এই প্যাংগংয়ের এই 'অবস্থান' ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় র'ক্তক্ষ'য়ী সং'ঘ'র্ষের পরে সেনা ও কূ'টনৈ'তিক স্তরের একাধিক আলোচনার পরেও ভারতীয় এলাকাগুলি থেকে পুরোপুরি সরেনি চিন। এই পরি'স্থিতিতে দর ক'ষাক'ষির ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে প্যাংগংয়ের ঘ'টনা। শুধু তাই নয়, প্যাংগংয়ের দক্ষিণে উঁচু এলাকায় অবস্থান নেওয়ার পরে চিনা ফৌজের 'প্রস্তুতি'র উপরেও ন'জরদা'রিতে সুবিধা হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। 

কালা টপের কাছে চিনা ট্যাঙ্ক এবং অদূরের স্পাংগুর লেক ঘেঁষা গিরিপথের কাছে লাল ফৌজের রাস্তা বানানোর তৎপরতাও ন'জরে এসেছে ইতিমধ্যেই। দ্রুত সাঁজোয়া গাড়ি ও সাম'রিক যানবাহন যাতায়াতের উদ্দেশ্যেই ওই রাস্তা বানানো হচ্ছে। মে মাসের গোড়ায় গলওয়ান, গোগরা, হট স্প্রিংয়ের পাশাপাশি প্যাংগং লেকের উত্তরে বেশ কিছু ভারতীয় এলাকায় ঢু'কে পড়েছিল চিনা সেনা। সীমানা নির্দে'শক ফিঙ্গার এরিয়া-৮ থেকে কয়েক কিলোমিটার ঢুকে ফিঙ্গার এরিয়া-৪-এ চলে আসে তারা। 

পরে আলোচনার প্রেক্ষিতে 'বাফার এরিয়া' তৈরি করতে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও এখনও তারা এলএসি থেকে পুরোপুরি পিছু হ'টেনি বলে খবর। ১৯৬২ সালের যু'দ্ধের পরে এই প্রথম ভারতীয় সেনার বি'রু'দ্ধে এলএসি অ'তিক্র'ম করে চিনা এলাকা দ'খলের অ'ভিযো'গ তুলেছে বেজিং। লাদাখের সাম্প্রতিক ঘ'টনাপর্বের আবহে এই 'উলটপুরাণ' খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে সাম'রিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন। ১৯৬২ সালে প্যাংগং লেকের দক্ষিণের এই এলাকায় হা'ম'লা চালিয়েছিল চিনা সেনা। পরিণামে হয়েছিল র'ক্তক্ষ'য়ী সংঘর্ষ। এ বার তাই বা'ড়তি সত'র্ক ভারত। সূত্র : আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে