সেনা পোশাকেই জঙ্গি হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শনিবার ভোররাতে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক ঘাঁটিতে একদল বন্দুকধারী হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই সাতজন নিহত হয়। এদের মধ্যে তিনজন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য এবং বাকী চারজন সন্দেহভাজন জঙ্গি। ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটার দিকে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পাঠানকোটের যে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে জঙ্গিরা আত্মঘাতী হামলা চালায়, সেই একই অঞ্চল থেকে ২৪ ঘণ্টা আগেই অপহরণ করা হয়েছিল পঞ্জাব পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে। অপহরণের পর হাতে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেয়েও নিরাপত্তা বাহিনী কেন জঙ্গিদের ধরতে ব্যর্থ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে অপহরণকারীরা যে পাকিস্তানের জঙ্গি। টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ১৫জনের একটি জঙ্গিদল ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে ঢোকে। শনিবারের সংঘর্ষে ৪ জঙ্গি খতম হলেও, খোঁজ নেই আরও ১১ জনের। যে কারণে পঞ্জাব জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পাঠানকোট বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে NIA-এর হাতে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এদিন দাবি করেন, পাঠানকোট হামলার সঙ্গে পাক যোগ রয়েছে। ভারতের হাতে এ সংক্রান্ত যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। রাজনাথ বলেন, আগাম খবর থাকার কারণেই বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ভারত যে এর যোগ্য জবাব দেবে, সেই হুঁশিয়ারিও দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, এসপিকে যে জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল, তারা ছিল সেনা পোশাকে। এদিন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানো জঙ্গিরাও সেনা পোশাকে ঢুকেছিল। ফলে, এই জঙ্গিদের পক্ষে আত্মগোপন করা সহজ বলেই মনে করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সলবিন্দর সিং নামে এই পুলিশসুপারকে অপহরণ করা হয়েছিল।
এদিকে, পাঠানকোটের এই জঙ্গিহামলার কারণে গোটা দেশের সঙ্গে কলকাতাতেও হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। দমদম বিমানবন্দর ছাড়াও মেট্রো রেল স্টেশনগুলোতে কয়েকগুন বিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
২ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�