শনিবার, ০২ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৪:৫৬:৩৮

আনাড়ির হাতে স্টিয়ারিং

আনাড়ির হাতে স্টিয়ারিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাড়ি চালাতে না জানলেও স্টিয়ারিং ধরলেন আনাড়ি কেয়ারটেকার। গাড়ি ধোয়ার জন্য তার হাতে চাবি তুলে দিয়েছিলেন গাড়ির মালিক৷ ফলস্বরূপ নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল নিরীহ ফুল বিক্রেতার৷ টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন দুর্ঘটনার খবর জানা গেছে। বছরের প্রথমদিন শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সল্টলেকের বি এফ ব্লকে৷ পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবকুমার মণ্ডল (৪২ )৷ আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা দেবকুমার সল্টলেকে বাড়ি বাড়ি ফুল সরবরাহের কাজ করতেন৷ এ ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৩০৫ ধারায় ওই গাড়ির চালক কৌশিক সানাকে গ্রেন্তার করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ৷ আজ শনিবার ধৃতকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অন্যদিনের মতো শুক্রবারও দুপুর ১২টার দিকে ফুল নিয়ে বাড়ি বাড়ি দিতে বেরিয়েছিলেন দেবকুমার৷ তখনই বি এফ ব্লকের ১৬৪ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার কৌশিক ওই গাড়িটি (ডব্লু বি-০২ এ এফ ৫১১১ ) পরিষ্কার করার জন্য বাইরে বের করছিল৷ গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসেই সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে৷ এর ফলে গাড়িটি বাড়ির দরজা ভেঙে বাইরে চলে আসে৷ ওই সময়েই রাস্তার ওপর গাড়ির সামনে পড়ে যান দেবকুমার৷ কৌশিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি নিয়ে তাকে ধাক্কা মারলে দেবকুমার সোজা গিয়ে ডিভাইডারের ওপর পড়েন৷ গাড়িটিও সজোরে ধাক্কা মারে ডিভাইডারে৷ ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান দেবকুমার৷ তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা বিধানননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ প্রতক্ষ্যদর্শী স্থানীয় দোকানি মেহতাব হোসেনের কথায় , চোখের সামনে এরকম ঘটনা দেখে আমরা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম৷ চালকের দোষেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন৷ এরপরই পুলিশ এসে ওই কেয়ারটেকারকে গ্রেপ্তার করে৷ পুলিশ সূত্রের খবর, কৌশিকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই৷ ধৃতকে জেরা করে জানা গেছে সে গাড়ি চালানোর বিষয়েও অনভিজ্ঞ৷ প্রশ্ন উঠছে, লাইসেন্স না থাকা এবং অনভিজ্ঞ চালক হওয়া সত্ত্বেও কেন তার হাতে ২০১৩ সালে রেজিস্ট্রেশন করা সেডান গাড়িটি ছেড়ে দেয়া হয়েছিল? বিধাননগর কমিশনারেটের এক অফিসার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে ওই বাড়ির আবাসিক অমিত মান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ তবে এ রকম ঘটনা সল্টলেকে প্রথম নয়। দেবকুমারের মৃত্যুর পর এ এফ ব্লকের বাসিন্দা অমিয় সামন্ত বলছেন, বাড়ির কেয়ারটেকার দিয়ে গাড়ি পরিষ্কার অনেকদিন ধরেই সল্টলেকে চলে আসছে৷ অনেক বাড়ির কেয়ারটেকারেরই লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও তাদের হাতে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে৷ তিন বছর আগে এফ সি ব্লকে একইভাবে একজন মারা গিয়েছিল৷ ২ জানুয়ারি,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে