আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঠিক তিরিশ বছর আগের এক অক্টোবরের সকাল। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে এসে হাজির হলেন ভারতের আসামের বি'চ্ছি'ন্নতাবা'দী গোষ্ঠী আলফা'র তিনজন ডাকসাইটে নেতা। তাদের সঙ্গে আগে থেকেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল হাইকমিশনেই কর্মরত ব্রিটিশ কূটনীতিবিদ ডেভিড অস্টিনের।
আলফা'র যে প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে সেদিন দেখা করতে এসেছিলেন, তাদের নেতৃত্বে ছিলেন আলফার মহাসচিব অনুপ চেতিয়া (যার প্রকৃত নাম গোলাপ বড়ুয়া)। সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের আরও দুজন শীর্ষ নেতা, সিদ্ধার্থ ফুকন (আসল নাম সুনীল নাথ) ও ইকবাল (আসল নাম মুনিন নাবিস)।
ভারতীয় রাষ্ট্রের বি'রু'দ্ধে আলফা'র আ'ন্দো'লনে ব্রিটিশ সরকারের সমর্থনের প্রত্যা'শাতেই সেদিন হাইকমিশনে ওই গো'পন বৈঠক করতে এসেছিলেন তারা। সেই ঘ'টনার এত বছর বাদে ব্রিটেনের ন্যাশনাল আর্কাইভস সম্প্রতি যে সব ক্লাসিফায়েড বা গো'প'নীয় নথিপত্র অবমু'ক্ত করেছে, তা থেকেই জানা গেছে ওই বৈঠকের বিবরণ।
সেদিনের বৈঠকের পর কূটনী'তিবি'দ ডেভিড অস্টিন নিয়মমাফিক লন্ডনে একটি বিস্তারিত নোটও পাঠান। ওই নোটে তিনি লিখেছিলেন, আলফা নেতারা তাকে জানিয়েছেন তাদের আ'ন্দো'লন না-কি 'ইসরায়েলের ভাবধারায়' অনুপ্রাণিত। ডেভিড অস্টিনের নোটে লেখা, "শ'ত্রুভা'বাপ'ন্ন আরব দুনিয়া পরিবেষ্টিত হয়ে ইসরায়েল যদি টিঁকে থাকতে পারে, তাহলে শ'ত্রু ভারতীয় সেনারা চারদিকে ঘিরে থাকলেও আসাম কেন একই জিনিস করতে পারবে না?"
সেই বৈঠকের ঠিক দু'মাসের মাথায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আলফাকে নি'ষি'দ্ধ ঘোষণা করে ওই গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের বি'রু'দ্ধে শুরু করে সর্বা'ত্মক অ'ভিযা'ন, যার নাম দেওয়া হয় 'অ'পারে'শন বজরং'। আর ব্রিটিশ হাইকমিশনে যখন আলফা নেতারা বৈঠকে বসেন, ঢাকার ক্ষ'মতায় তখন ছিল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সরকার। বৈঠকের ঠিক দু'মাসের মাথায় তী'ব্র গণআ'ন্দো'লনের মুখে সেই জেনারেল এরশাদকেও সরে দাঁড়াতে হয়।
আলফা নেতারা ব্রিটেনের যে সমর্থনের আশায় সেদিন ঢাকা গিয়েছিলেন, তাদের সেই ল'ক্ষ্যও শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হয়নি। দিল্লির বহুদিন ধ'রেই স'ন্দে'হ ছিল যে বি'চ্ছি'ন্নতাবা'দী গো'ষ্ঠী আলফার নেতারা প্রতিবেশী বাংলাদেশের গো'য়ে'ন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্র'চ্ছ'ন্ন সমর্থন ও ম'দ'ত পাচ্ছেন।
তবে সেই ৯০-এর দশকের একেবারে শুরুতে বাংলাদেশের মাটিতে আলফার তেমন কোনও বড় প্রশিক্ষণ সুবিধা তখনও গড়ে ওঠেনি। তবে আলফার শীর্ষ নেতারা তখন ঘন ঘনই ঢাকায় পাড়ি দিচ্ছেন। অনেকে সেখানেই স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেছেন, ঢাকা বিমানবন্দর হয়ে তারা চীন বা ব্যাংকক, কুয়ালালামপুরেও যাচ্ছেন।
সে সময় ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন, এমন একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসি বাংলার কাছে দাবি করেন, "আমার দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশের সাম'রিক গো'য়ে'ন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-ই ব্রিটিশ দূতাবাসের সঙ্গে আলফা নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠকের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।"
তবে এই দাবির সমর্থনে অন্য কোনও প্রমাণ মেলেনি, কিংবা ডেভিড অস্টিনও তার নোটে এই প্রসঙ্গে কিছু লেখেননি। তবে তিনি লিখেছেন, আলফা নেতারা তাকে আসামের লখিমপুরে সংগঠনের প্রশিক্ষণ শিবির ও ক্যাম্পের ছবি দেখিয়েছিলেন। সঙ্গে দিয়েছিলেন সংগঠনের কর্মকান্ডের নানা ছবি ও লিফলেট বা প্রচারপুস্তিকা।
"আপনারা চাইলে আলফার একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে আপনাদের সরেজ'মিনে ঘুরিয়ে দেখানোরও ব্যবস্থা করতে পারি", অনুপ চেতিয়া ও তার সহকর্মীরা এ কথাও বলেছিলেন ওই ব্রিটিশ কূটনীতিককে। ডেভিড অস্টিন অবশ্য সে প্রস্তাবে রাজি হননি বলে জানিয়েছেন। আলফা'র ওই নেতারা যেসব ছবি তাকে দেখিয়েছিলেন, তার মধ্যে সংগঠনের কমা'ন্ডার-ইন-চিফ পরেশ বড়ুয়ারও একটি ছবি ছিল।
ওই ছবিতে পরেশ বড়ুয়াকে চীন সীমান্তে চীনা সেনাবা'হি'নীর একজন লিয়াজোঁ অফিসারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছিল। ভারতীয় গো'য়ে'ন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস, পরেশ বড়ুয়া বা 'পি বি' আজও চীনের আশ্রয়ে সে দেশেই লু'কিয়ে আছেন। ব্রিটেনের ন্যাশনাল আর্কাইভসের প্রকা'শিত নথিতে দেখা যাচ্ছে, সেদিনের বৈঠকে আলফা নেতারা তাকে কী কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন লন্ডনে পাঠানো নোটে ডেভিড অস্টিন তার বি'শ'দ বিবরণ দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, "চারটি আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে আলফা নেতারা আমার কাছে সাহায্য বা পরামর্শ চেয়েছিলেন।" প্রথমত, আলফার উদ্দেশ্য ও ক'র্মকা'ন্ড নিয়ে যাতে সারা দুনিয়ায় প্রচার চালানো যায়, সে জন্য তারা যুক্তরাজ্যের সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত, আলফা যুক্তরাজ্যে নিজস্ব একটি অফিস বা কার্যালয় স্থাপন করতে পারে কি-না, সে ব্যাপারেও পরা'মর্শ চেয়েছিলেন তারা।
তাদের তৃতীয় অনুরো'ধ ছিল, ঢাকায় অন্যান্য পশ্চিমা দেশের দূতাবাস বা কূটনীতিবিদদের সঙ্গেও ব্রিটেন তাদের পরিচয় করিয়ে দিক, যাতে আলফা তাদেরও সাহায্য চাইতে পারে। চতুর্থ বা শেষ প্রশ্ন ছিল, ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ হয়তো আলফাকে নানাভাবে সহযোগিতা করতে পারে বলে আলফার ধা'রণা, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ব্রিটেন কোনওভাবে সাহায্য করতে পারে কি-না।
প্রসঙ্গত, সেই ১৯৯০-র অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনও কূ'টনৈ'তিক সম্পর্কও ছিল না। এর প্রায় সোয়া বছর বাদে ১৯৯২'র জানুয়ারিতে তেল আবিবে ভারতীয় দূতাবাস স্থাপনের মধ্যে দিয়ে দু'দেশের কূ'টনৈ'তিক সম্পর্কের সূচনা হয়। ডেভিড অস্টিনের সেই নোট লন্ডনে পৌঁছানোর পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতে তাদের হাইকমিশনের কাছে এ ব্যাপারে মতামত চেয়ে পাঠায়।
তখন দিল্লির ব্রিটিশ হাইকমিশনে কর্মরত কূটনীতিবিদ ডি ডি ডাব্লিউ মার্টিন লেখেন, সহকর্মী মিস্টার অস্টিনের নোট সত্যিই 'ফ্যা'সিনে'টিং' এবং 'আলফা যে এখন সাহায্য চাইতে পশ্চিমা কূটনীতিবিদদের তাক করেছে সেটাও পরিষ্কার!' কিন্তু আলফাকে ব্রিটেনের সাহায্য করার প্রস্তাবে তিনি একেবারেই সায় দেননি।
ব্রিটিশ মহাফেজখানার নথি জানাচ্ছে, ৫ই নভেম্বর দিল্লির ব্রিটিশ দূতাবাস থেকে ডি ডি ডাব্লিউ মার্টিন যে নোট পাঠান তাতে আলফার ব্যাপারে তিনি তাদের মতামত খুব পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। মার্টিন লেখেন, "এই যে আলফা নেতারা বাংলাদেশে বসে পশ্চিমা দেশগুলোর সাহায্য চাইছেন, তা থেকে এটাই বোঝা যায় যে তারা সে দেশে অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রায়শই যে সব রিপোর্ট বেরোয়, তার হয়তো অনেকটাই সত্যি। আর এটাও বোঝা যাচ্ছে, বোধহয় তাদের পেছনে সে দেশের কর্তৃপক্ষেরও প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে।"
চীন সীমান্তে পরেশ বড়ুয়ার ছবির সূত্র ধ'রে আলফার যে চীন সংযোগের প্রসঙ্গ এসেছে, সেটাও তার কাছে খুব 'ইন্টারেস্টিং' আর 'নতুন ব্যাপার' লেগেছে বলে মিস্টার মার্টিন তার নোটে উল্লেখ করেন। এই সূ'ত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আসামের একজন কংগ্রেস এমএলএ আমাকে বলেছিলেন যে আলফার সঙ্গে চীনের যো'গসা'জশের ব্যাপারে ভারতীয় গো'য়ে'ন্দা সংস্থাগুলো খুব ভালো করেই জানে। কিন্তু চীন-ভারতের সম্পর্ক মে'রা'মতের চেষ্টায় বি'রূ'প প্র'ভা'ব পড়বে এই আ'শ'ঙ্কায় দিল্লি এ নিয়ে প্রকা'শ্যে মুখ খোলে না!"
তবে আলফাকে সমর্থন না-করার ব্যাপারে ব্রিটেনের মূল আ'প'ত্তি ছিল আসামের চা-বাগানগুলোতে তাদের স্বার্থ। বহু ব্রিটিশ কোম্পানির তখনও ল'গ্নি ছিল আসামের চা-বাগিচাগুলোতে। আর চা-বাগানগুলোকে ভ'য় দেখিয়ে টাকা-পয়সা তোলা, অফিসারদের জি'ম্মি করে মু'ক্তিপণ আদায়ের জন্য আলফা বি'রু'দ্ধে বিস্তর অ'ভিযো'গ ছিল।
সে কারণেই মার্টিন তার নোটে লেখেন, আসামের যে চা কোম্পানিগুলোতে ব্রিটেনের প্রত্যক্ষ আর্থিক স্বার্থ জড়িত, তাদের বি'রু'দ্ধে আলফার কর্মকা'ন্ড নিয়ে বৈঠকে ওই নেতারা কিন্তু কিছুই বলেননি। তার কথায়, "আলফা একটি স'শ'স্ত্র জ'ঙ্গি সংগঠন যারা হিং'সার পথে আসামে প্রতিষ্ঠিত শা'সনকে উৎ'খা'ত করতে চায়। চা কোম্পানিগুলোকে চা'প দিয়ে তারা ব্রিটিশ স্বার্থকেও হু'মকিতে ফেলছে।"
"ফলে আলফার সঙ্গে কোনও ধ'রনের 'ক'নট্যা'ক্ট' বা সম্পর্ক তৈরি ভারত সরকারের কাছে ব্যাখ্যা করাটাও আমাদের জন্য খুব ক'ঠি'ন হবে", দ্ব্য'র্থহী'ন ভাষায় ওই নোটে তার রায় জানিয়ে দেন ডি ডি ডাব্লিউ মার্টিন। ওই বৈঠকের পরপরই ভারত ও বাংলাদেশের রাজধানীতে যেমন, তেমনি আলফার বিচরণভূমি আসামেও বেশ কিছু নাটকীয় ঘ'ট'নাবলী ঘ'টে যায়।
অক্টোবরে ঢাকায় যখন ওই বৈঠক হচ্ছে, তখন দিল্লির ক্ষ'মতায় বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের সরকার। পরের মাসেই তার বি'রু'দ্ধে বি'দ্রো'হ করে কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন চন্দ্র শেখর। চন্দ্র শেখর সরকার গোড়াতেই যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার একটা হলো আসামের প্রফুল্ল মহন্ত-র নেতৃত্বাধীন অসম গণ পরিষদের সরকারকে ব'রখা'স্ত করে ওই রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শা'সন জা'রি করা।
অসম গণ পরিষদের বি'রু'দ্ধে দিল্লির অ'ভিযো'গ ছিল, তারা আলফার প্রতি সহানুভূতিশীল ও আলফার হিং'সাতেও ম'দ'ত দিচ্ছে। নভেম্বরের শেষেই আলফাকে নি'ষি'দ্ধ ঘোষণা করে দিল্লি। ভারতীয় সেনা আসাম জুড়ে আলফার বি'রু'দ্ধে ক্র্যা'কডা'উন শুরু করল, 'অ'পারে'শন বজরং' নামের যে অ'ভিযা'নে প্রা'ণ হা'রালেন সংগঠনের বহু নেতা-কর্মী।
ওদিকে বাংলাদেশেও জেনারেল এরশাদের স্বৈ'রশা'সনের অ'বসা'ন ঘ'টল কিছুদিন পরেই, তিনি ইস্তফা দিলেন সে বছরেরই ডিসেম্বরের ৬ তারিখে। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অন্তর্বতীকালীন সরকারের পরিচালনায় এরপর বাংলাদেশে যে নির্বাচন হলো, তাতে জিতে ক্ষ'মতায় এলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। কিন্তু তার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ও বাংলাদেশে আলফা নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় মোটেও ব'ন্ধ হয়নি, বরং অনেকগুণে বেড়েছিল বলেই ভারত বরাবর অ'ভিযো'গ করে এসেছে।
খালেদা জিয়ার দুই দফার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ই বাংলাদেশের মাটিতে আলফার বহু প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে ওঠে বলে ভারত মনে করে। আলফার শীর্ষ নেতারা ঢাকাকে তাদের ''বেস'' বা ''ট্রা'নজি'ট'' হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন - যদিও বাংলাদেশ সরকার প্রকা'শ্যে তা আ'গাগো'ড়াই অস্বী'কার করে এসেছে। আর ব্রিটিশ দূতাবাসের সেদিনের বৈঠকে যিনি আলফার হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেই অনুপ চেতিয়া ঢাকায় গ্রে'প্তার হন ১৯৯৭-র ডিসেম্বর মাসে।
বাংলাদেশের ক্ষ'মতায় তখন আওয়ামী লীগ। পাসপোর্ট আইনে অনুপ চেতিয়ার সাত বছরের জেল হলেও বাংলাদেশের কা'রাগা'রে শেষ পর্যন্ত তাকে কা'টাতে হয় প্রায় আঠারো বছর। অবশেষে ২০১৫-র নভেম্বরে তাকে ভারতের হাতে তুলে দেয় শেখ হাসিনা সরকার। আলফা'র একটি গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে অনুপ চেতিয়া এখন ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
কিন্তু তিরিশ বছর আগে তিনি ঢাকায় ব্রিটিশ কূ'টনী'তিক ডেভিড অস্টিনকে যার ছবি দেখিয়েছিলেন, সেই পরেশ বড়ুয়া এখনও আসামের সা'র্বভৌ'মত্বের দাবি থেকে সরে আসেননি। আলফা (ই'ন্ডিপেন্ডে'ন্ট) গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে তিনি এখনও সম্ভবত চীন বা মিয়ানমারের ভূখণ্ড থেকে ভারতের বি'রু'দ্ধে ল'ড়া'ই চালিয়ে যাচ্ছেন।
আর সেই তিরিশ বছর আগেই লন্ডন থেকে ঢাকায় ডেভিড অস্টিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আলফার সঙ্গে আর কোনও বৈঠকের দরকার নেই - ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সেতু গড়ে তুলতে আলফার চেষ্টাতেও ইতি পড়েছিল তখনকার মতো। এমনই জানাচ্ছে লন্ডনের ন্যাশনাল আর্কাইভস দ্বারা সদ্য প্রকাশিত কিছু অস্বী'কৃত নথি। সূত্র : বিবিসি ও হিন্দুস্তান টাইমস