রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৩৭:৩১

'থাইল্যান্ড জনগণের, রাজার নয়' থাই রাজার বি'রুদ্ধে পথে নেমেছে তরুণরা!

'থাইল্যান্ড জনগণের, রাজার নয়' থাই রাজার বি'রুদ্ধে পথে নেমেছে তরুণরা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের বি'ক্ষো'ভকারীরা রাজপ্রাসাদের কাছে একটি ফলক বসিয়েছে যাতে ঘোষণা করা হয়েছে: "থাইল্যান্ড জনগণের ... রাজার নয়।" একে রাজা মাহা ওয়াচিরালংকনের প্রতি সরাসরি চ্যা'লে'ঞ্জ বলেই দেখা হচ্ছে। প্রধানত ছাত্রদের নেতৃত্বে গত জুলাই মাস থেকে বিক্ষোভ চলছে। 

তাদের মূল দাবি : থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র আর রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘ'টাতে হবে। চলতি সপ্তাহান্তে যে দেশজুড়ে যে বি'ক্ষো'ভ হয়েছে এমনটি গত কয়েক বছরের মধ্যে দেখা যায়নি। কিন্তু রাজতন্ত্রে সংস্কারের দাবি থাইল্যান্ডে খুবই স্প'র্শকা'তর বিষয়। সে দেশে কেউ রাজার স'মালো'চনা করলে তার দী'র্ঘমে'য়া'দী কা'রাদ'ণ্ডের বিধান রয়েছে।

রাজতন্ত্রের সংস্কারের পাশাপাশি বি'ক্ষো'ভকারীরা প্রধানমন্ত্রী জে'নারেল প্রায়ুত জান-ওচার প'দত্যা'গের দাবী জানাচ্ছে। তিনি ২০১৪ সালে এক সাম'রিক অভ্যু'ত্থানের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সরকারকে ক্ষ'ম'তাচ্যু'ত করেন এবং গত বছর এক বি'ত'র্কি'ত নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

ব্যাংককের গ্র্যান্ড প্যালেসের কাছে এক রাজকীয় মাঠের মাটেত যে ধাতব ফলকটি বসানো হয়েছে তাতে তারিখ দেখানো হয়েছে ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ এবং তাতে থাই ভাষায় ঘোষণা করা হয়েছে: "জনগণ এই আ'কা'ঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে যে এই দেশ জনগণের সম্পত্তি, রাজার নয়।"

আয়োজকরা বলছেন, ১৯৩০ সালে থাইল্যান্ডে সর্বময় ক্ষ'মতা'ধ'র রাজতন্ত্রের অ'বসা'নের পর যে ফলকটি বসানো হয়েছিল - সেই জায়গাতেই এই নতুন ফলক বসানো হয়েছে। আগেরটি ২০১৭ সালে চু'রি যায়। এই বি'ক্ষো'ভের সময় পুলিশ কোন ধ'রনের বা'ধা দেয়নি।

কেন এই বি'ক্ষো'ভ: থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অ'স্থি'রতা এবং গো'লযো'গের ঘ'টনা নতুন নয়। কিন্তু এই নতুন আ'ন্দো'লন শুরু হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে, যখন সে দেশের আদালত একটি নবগঠিত গণতন্ত্রপ'ন্থী রাজনৈতিক দলকে বি'লু'প্ত করার রায় দেয়। ফিউচার ফরো'য়ার্ড পার্টি (এফএফপি) থাই তরুণ এবং প্রথমবারের ভোট দাতাদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিল। 

গত বছর মার্চ মাসের নির্বাচনে দলটি সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলে পরিণত হয়েছিল। ঐ নির্বাচনেই সাম'রিক অধিনায়করা নির্বাচিত হন। কিন্তু জুন মাসে একজন জনপ্রিয় গণত'ন্ত্রপ'ন্থী আ'ন্দো'লনকারী ওয়ানচালরাম সাকসাতসিত প্রতিবেশী দেশ ক্যাম্বোডিয়া থেকে গু'ম হওয়ার পর বি'ক্ষো'ভ আবারও দা'না বাঁ'ধতে শুরু করে। থাইল্যান্ডে অ'ভ্যু'ত্থানের পর থেকে ওয়ানচালরাম সেখানে নির্বা'সিত জীবন যাপন করছিলেন।

তিনি এখনো নিখোঁ'জ রয়েছেন। বি'ক্ষো'ভকারীরা অ'ভিযো'গ করেন যে তার অ'পহ'রণের পেছনে থাই রাষ্ট্রযন্ত্রের হাত রয়েছে। কিন্তু সরকার এই অ'ভিযো'গ অ'স্বী'কার করেছে। এরপর থেকেই ছাত্ররা এই আ'ন্দো'লনের সামনের কাতারে চলে আসে এবং নিয়মিতভাবে বি'ক্ষো'ভ দেখাতে থাকে। তাদের দা'বী - অ'বৈ'ধভাবে ক্ষ'মতা দ'খলের জন্য প্রধানমন্ত্রী জে'নারেল প্রায়ুত জান-ওচার সরকারকে ব'রখা'স্ত করতে হবে, নতুন করে থাই সংবিধান লিখতে হবে, এবং সরকারের স'মালো'চকদের হে'ন'স্তা করা চলবে না।

এই আ'ন্দো'লন কেন ভিন্ন : মূলত সরকারের বি'রু'দ্ধে এই বি'ক্ষো'ভ গত মাসে হঠাৎ করেই রাজার বি'রু'দ্ধে বি'ক্ষো'ভে মোড় নেয়। ব্যাংককে এক জনসমাবেশে রাজতন্ত্রে সংস্কারের ল'ক্ষ্যে ১০-দফা দাবিনামা পেশ করা হয়। এই ঘ'টনায় থাইল্যান্ড জুড়ে প্র'ব'ল আলোচনা শুরু হয়। থাইল্যান্ড এমন এক দেশ যেখানে মানুষকে ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয় রাজাকে ভালবাসতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে। আর তা না করলে শা'স্তি পেতে হবে।

পানুসায়া সিথিজিরা ওয়তানাকুল নামে যে তরুণী এই দাবি নামা পেশ করেন - তিনি বলেন, তাদের লক্ষ্য রাজতন্ত্র ধ্বং'স করা না, বরং একে আধুনিক করা এবং বর্তমান সমাজব্যবস্থার উপযোগী করে গড়ে তোলা। কিন্তু তিনি এবং তার সমর্থকদের বি'রু'দ্ধে 'চুং চা'র্ট'-এর অ'ভিযো'গ করা হয়। এই থাই শব্দ দুটির মানে হলো নিজের জাতিকে যে ঘৃ'ণা করে। কিন্তু ন্যা'য়ের পথে থেকে, গলায় প্র'তিবা'দের সুর তুলে তারা নিজেদের চ'র'ম ঝুঁ'কির মুখে ফেলছেন বলেও এই তরুণ বি'ক্ষো'ভকারীরা আ'শ'ঙ্কা প্রকা'শ করছেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে