মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:৪২:৪১

যে কথা স্মরণ করিয়ে দেয় ইরাক-ইরান যু'দ্ধ

যে কথা স্মরণ করিয়ে দেয় ইরাক-ইরান যু'দ্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি ভা'ঙ্গা চোয়াল। কিছু হাড়। কিছু ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিস। প্লাস্টিকের দাঁ'তভা'ঙ্গা একটি পকেট চিরুণি। ধা'তব হা'তঘ'ড়ি। সম্প্রতি ইরাক-ইরান যু'দ্ধে নিহ'ত এক সেনার উ'দ্ধা'রকৃত অবশেষ এসব। যেখান থেকে উ'দ্ধা'র করা হয়েছে, সেখানকার বিস্তারিত বর্ণণা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে এসব। হৃ'দয়বি'দা'রক এছবি নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ইরাক-ইরান র'ক্তা'ক্ত যু'দ্ধের কথা।

সেই যু'দ্ধের ভ'য়াব'হতা এখনও অনেক মানুষকে তা'ড়া করে ফেরে। কারণ, এতে দুটি দেশই অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মা'রা'ত্ম'ক ক্ষ'তিগ্র'স্ত হয়েছে। প্রা'ণহা'নি হয়েছে অকা'তরে। সর্বশেষ যে সেনা সদস্যের অবশেষ উ'দ্ধা'র করা হয়েছে তা নিয়ে ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, মাই'সান প্রদেশে ইরাক-ইরান সীমান্ত এলাকায় পাওয়া গেছে ইরাকি নিহ'ত সেনা কর্মকর্তা এলাবি ইউদানের এসব অব'শি'ষ্টাংশ। ওই পোস্টে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে পোস্টটি শে'য়ার দিতে, যাতে তার পরিবার খবরটি জানতে পারে।

মঙ্গলবার ২২ শে সেপ্টেম্বর সেই ভ'য়াব'হ ইরাক-ইরান যু'দ্ধের ৪০ বছর। এত আগের এই স্মৃতি এখনও মানুষকে কাঁ'দায়। এত বছর আগে সীমান্ত নিয়ে বিরো'ধে ইরানের বি'রু'দ্ধে আ'ক'স্মিক পূর্ণ মাত্রার যু'দ্ধ শুরু করেন ইরাকের প্রয়াত নেতা সাদ্দাম হোসেন। অনলাইন আল জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা জানিয়ে বলা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে এ'কচে'টিয়া নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার উ'চ্চা'কা'ঙ্খা নিয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন। 

ওই সময়ে ইরাক যু'ক্তি দিয়েছিল যে, যু'দ্ধ আসলে শুরু হয়েছিল ১৯৮০ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর। ওই সময় ইরাকের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে গো'লা নি'ক্ষে'প করেছিল ইরান। টানা আট বছর যু'দ্ধ চলে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা অনেক দেশ ও আরবের সং'খ্যাগ'রি'ষ্ঠ দেশ ইরাককে সমর্থন করতে থাকে। ফলে আ'ন্তর্জা'তিকভাবে এক'ঘরে হয়ে পড়ে ইরান। বা''ধ্য হয়ে তারা জাতিসংঘের মধ্য'স্থতায় ১৯৮৮ সালের আগস্টে একটি শা'ন্তিচু'ক্তি মেনে নেয়।

আধুনিক ইতিহাসে ওই যু'দ্ধ ছিল ভ'য়াব'হ, প্রা'ণঘা'তী। এতে ব্যবহার করা হয়েছিল রাসায়নিক অ'স্ত্র। উভয় দেশে মা'রা গিয়েছেন কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ। আহ'ত হয়েছেন আরো অগণিত মানুষ। নিখোঁ'জ হয়েছেন কতজন তার ইয়'ত্তাই নেই। তবে যু'দ্ধ শেষ হয়ে গেলেও কোনো দেশকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয় নি। যেখান থেকে যু'দ্ধ শুরু হয়েছিল উভয় দেশের সেনাবা'হি'নী তাদের সেই অবস্থানে ফিরে যায়। এই দী'র্ঘমেয়া'দী যু'দ্ধে দুই দেশে শুধু যে অকা'তরে প্রা'ণহা'নি হয়েছে এমন নয়। অর্থনীতি ধ'সে পড়ে। তার প্রভা'ব পড়ে পুরো অঞ্চলে। 

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পলি'টিক্যা'ল ডিসিশন সেন্টারের চেয়ারম্যান হাদি জালো মারি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক সংস্কৃতি চালু করেছে ইরান-ইরাক যু'দ্ধ। এই সংস্কৃতিতে প্রভাব রয়েছে নতুন নতুন সব বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাম'রিক লিগ্যা'সির। যু'দ্ধে একদিকে প্রা'ণহা'নি ঘ'টেছে, অর্থনীতির ভ'য়াব'হ ক্ষতি হয়েছে ওই দুটি দেশে। কিন্তু তার প্র'ভা'ব পড়েছে দুই দেশের সীমান্তের বাইরেও। এই যু'দ্ধের ফলে পুরো অঞ্চলটি বি'ভ'ক্ত হয়ে পড়ে দুটি জা'তিগো'ষ্ঠীতে। এর মধ্যে একটি হলো সুন্নি নেতৃত্বাধীন ইরাক এবং অন্যদি হলো শিয়া নেতৃত্বাধীন ইরান।

শত শত কোটি ডলার ঋ'ণ নিয়ে বিরো'ধে ১৯৯০ সালে কুয়েতে আ'গ্রা'সন চালান ইরাকের প্রয়াত নেতা সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু সেই আ'গ্রা'সনের ওপরও ছায়া ফেলে এ ঘ'টনা। কুয়েত আ'গ্রা'সনের কারণে ইরাকে প্রথম আ'ক্র'মণ করে যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে আ'গ্রা'সন চালানো হয়। তাতে ক্ষ'মতাচ্যু'ত হন সাদ্দাম হোসেন। এরপর ২০০৩ সালে ইরাক-ইরানের মধ্যে সর্বশেষ যু'দ্ধবন্দীর বি'নিময় ঘ'টে। সুত্র : আল জাজিরা

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে